২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে সর্বোচ্চ রেকর্ড (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ২১ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:০৩ পিএম, ২১ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯), যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৪০৮ জন মারা গেলেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৭৩ জন, এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ৫১১ জনে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ১০ হাজার ১৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ২৬২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ১৪ হাজার ১১৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৭৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। এদের ১৯ জন পুরুষ, তিনজন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৩৯৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৬০২ জনে।
গত বুধবারের (২০ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন মারা গেছেন। ১০ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৬১৭ জনের দেহে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত এবং শনাক্ত- উভয় সংখ্যা শুধু বাড়েইনি, হয়েছে রেকর্ডও। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল ২১ জনের। এ তথ্য জানানো হয় গত ১৮ মের বুলেটিনে।
ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।
এদিকে মহামারী করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও আক্রান্তের হিসাব রাখা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৫ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৮২৬৬১ জন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এমবি//