ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড নাটোর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ২১ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

নাটোরে আম্পানের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র- ছবি একুশে টিভি।

নাটোরে আম্পানের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র- ছবি একুশে টিভি।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে সারারাত দমকা বাতাস ও ঝড়ে নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম গ্রামগুলোতে কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আম্পানের তাণ্ডবে বনপাড়া-হাটিকুমরুল ও নাটোর-পাবনা মহাসড়কের দুই পাশের গাছপালা ভেঙ্গে রাস্তার ওপর পড়ে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কেও গাছ ভেঙ্গে পড়ে। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। 

এতে করে বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুর অবধি এসব সড়কে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সকাল থেকে গাছ অপসারণের কাজ চালিয়ে যায়। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মধ্য রাত থেকে নাটোরে শুরু হয় প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। ঝড়ের সাথে অবিরাম বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে তলিয়ে যায় হাট-বাজারসহ নিম্নাঞ্চল। আম ও লিচুর পাশাপাশি ভুট্টা, কলা, মুগডাল, বাঙ্গি, তরমুজ ও পেঁপের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বড়াইগ্রাম ও লালপুরে বোরো ধানের ক্ষতি হয়। 

সিংড়া উপজেলার কলম গ্রামের কৃষক জুবায়ের হোসেন জানান, তার প্রায় দুই বিঘা জমিতে লাগানো লিচু বাগানের সব লিচু ঝরে পড়েছে। এতে তিনি প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। 

জেলার বড়াইগ্রামের আদগ্রাম দুই শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘর ভেঙ্গে গেছে। টিনের চাল উড়ে গেছে গুরুদাসপুর উপজেলার মামুদপুর মোল্লাবাজার কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের। নাজিরপুরে ৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। বৈদুতিক খুটি উপড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বুধবার রাত থেকেই জেলা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। 

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ঝড়ে ক্ষতি নিরুপণ করতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ। তিনি জানান, তিনি বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আম, লিচু ও ভুট্টাসহ বোরা ধানের ক্ষতিসহ কিছু কাঁচা ঘর বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। এসব ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বলেছেন।

এনএস/