আম্পান নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২১ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৩৬ পিএম, ২১ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
ভারতের পর বাংলাদেশে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এখন গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছে।
আজ বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, ঝিনাইদহ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে আজ সকাল ৯টায় রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
আজ পাঠানো আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকবে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য এবং অমাবশ্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাচল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এসি