ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছি : খাশোগির ছেলেরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ২২ মে ২০২০ শুক্রবার

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছে তার ছেলেরা। শুক্রবার খাশোগির এক ছেলে এমন একটি ঘোষণা দেন। 

ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগির বড় ছেলে সালাহ খাশোগি এক টুইটারে ঘোষণা দেন, আমরা আমাদের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা দিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে নিলাম।

তবে সৌদি আরবে বসবাসকারী সালাহর কাছ থেকে আইনিভাবে এই ঘোষণা তাত্ক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন জামাল খাশোগি। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের এই কলামিস্ট।

শুরুতে তাকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করে সৌদি। তবে সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসে’র মুখে ১৯ অক্টোবর খাশোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তীতে তুরস্কের তদন্তে বেরিয়ে আসে মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রতিবেদনেও একই বিষয়টি উঠে আসে। জাতিসংঘের বিশেষ দূতের তদন্তেও মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হয়।

যদিও ঘটনার সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে বারবার দাবি করে রিয়াদ।

আঙ্কারা জানায়, রিয়াদ থেকে ১৫ জন গোপন বাহিনীর সদস্য তুরস্কে গিয়ে খাশোগিকে হত্যা করে। চাপে প[ড়ে পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ১১ জন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটর।

গত ডিসেম্বরে একটি রায়ে অভিযুক্তদের পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত, তিনজনকে ২৪ বছর করে জেল এবং বাকিদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

তবে রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মুখপাত্র আহমেদ বেনছেমসি জানিয়েছিলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি ‘সন্তোষজনক’ নয়।

তিনি বলেন, শুরু থেকেও বিচার প্রক্রিয়ায় গোপনীয়তা ছিল। আমরা এখনো জানি না দুষ্কৃতকারীরা কারা, কাদের বিরুদ্ধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র : এএফপি
এসএ/