ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

অনলাইনে বিয়ে করলেন জয়পুরহাটের সাবরিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ২২ মে ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৪৭ পিএম, ২২ মে ২০২০ শুক্রবার

বর মুহাম্মদ উমের (২৫) ও কনে মুরসালিনা সাবরিনা (২০)

বর মুহাম্মদ উমের (২৫) ও কনে মুরসালিনা সাবরিনা (২০)

জয়পুরহাটের মেয়ে মুরসালিনা সাবরিনা পাকিস্তানের প্রেমিককে অনলাইনে বিয়ে করেছেন। আমেরিকান অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনিভার্সিটি অফ দ্য পিপল’-এর শিক্ষার্থী সাবরিনা। ২০১৮ সাল থেকে পড়ছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইন সূত্রেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতানের ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ উমেরের সঙ্গে তার প্রেম হয়। পারিবারিকভাবেই মার্চ মাসে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস বাধা হয়ে দাঁড়ায়। 

শেষ পর্যন্ত করোনা সাবরিনার বিয়ে আটকাতে পারেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকাল ৫টায় জয়পুরহাট পৌর শহরের কনের বাড়িতে অনলাইনে বিয়ে পড়ানো হয় সাবরিনা-উমেরের। অনলাইনেই বিয়ে পড়ান মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান। বর উমের এবং তার বাবা বিলাল আহম্মেদকে অনলাইনে সাবরিনার কবুল বলা শোনানো হয়। একইভাবে ইঞ্জিনিয়ার উমের অনলাইনে সাবরিনাকে স্ত্রী হিসেবে কবুল করেন।

সাবরিনার বাবা জয়পুরহাটের মোজাফ্ফর রহমান, পেশায় তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। অন্যদিকে বর উমের পাকিস্তানের বাহরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামাবাদ ক্যাম্পাস থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন। তার বাবা বিলাল আহম্মেদ একজন ব্যবসায়ী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের দিকে অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচয় হয় সাবরিনা ও উমেরের। এই প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে উভয়র পরিবার তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 

ভিসা নিয়ে মার্চ মাসেই বাংলাদেশে এসে বিয়ে সম্পন্ন করার আশা ছিল উমেরের। সেই মতে ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভিসার জন্য আবেদন করেন উমের এবং তার পরিবার। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবরিনা এবং তার পরিবারের খোঁজ-খবর নেয় স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিয়ে আটকে ছিল। শেষ পর্যন্ত অনলাইনেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন করতে হলো।

বিয়ে শেষে সাবরিনার বাবা মোজাফ্ফর রহমান বলেন, ‘মেয়ের সঙ্গে পাকিস্তানি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক প্রথমে মেনে নিতে চাইনি। কিন্তু পরে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে ভালো লেগেছে। উমেরের পরিবার খুবই ভালো মনে হলো। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বিয়ে সম্পন্ন করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই জামাই ও তার পরিবার এসে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে নিয়ে যাবেন।’ 

এএইচ/