ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২২ এএম, ২৪ মে ২০২০ রবিবার

বাংলাদেশের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৫১ সালে ২৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে এদেশের একজন রজনৈতিক ভাষ্যকার, প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নিত্য সহযাত্রীও বলা যায়।

গল্প, কিশোর সাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা, চিত্র সমালোচনা, অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তাঁর অবাধ বিচরণ। ছাত্র জীবনে জড়িত ছিলেন ছাত্র আন্দোলনে এবং ১৯৬৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছেন প্রতিটি সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলনে। 

মুনতাসীর মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। প্রায় পাঁচ দশ ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখে যাচ্ছেন তিনি। বহুমাত্রিক এই লেখকের প্রথম বইটি ১৯৬৮ সালে বের হয় সত্যেন সেনের উদ্যোগে। ষাটের দশকে মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির, আলী ইমাম শিশু সাহিত্যিকত্রয় মোটামুটি ঝড় তুলেছিলেন শিশু সাহিত্য ভুবনে।

লেখালেখির উৎসাহটা মূলত পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত। এই আবহে তিনি পেয়েছেন বহু মূল্যবান গ্রন্থ পাঠের, চিন্তা ও মানসিক পরিপক্বতার উপযুক্ত সুযোগ। এরপর পেয়েছেন সমসাময়িক সমাজের বিদ্বৎজনের সান্নিধ্য।

অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, সত্যেন সেন, রণেশ দাশ গুপ্ত, আহসান হাবীব, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সরদার ফজলুল করিম, আহমদ ছফা এমন প্রতিভাবান ব্যক্তিরা তাঁর মনন গঠনে সহায়ক হয়েছেন। 

মুনতাসীর মামুনের যাত্রা শুরু শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হিসেবে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। প্রতিষ্ঠা পেলেন লেখক হিসেবে। পাঠকপ্রিয়তাও পেয়েছেন দ্রুত। শুরুতে বিষয় হিসেবে বেঁচে নেন পূর্ববঙ্গ। এরপর পূর্ববঙ্গের কেন্দ্র নগর ঢাকার ইতিহাস রচনায় মন দিলেন। নগর ঢাকার অলি গলি খাল-পোল, নদী, মানুষ জীবন্ত হলেন পাঠকের চোখে। মুনতাসীর মামুন নগর ঢাকার লোকের কাছে পরিচিতি পেলেন ঢাকার রহস্য উদ্ধারকারী হিসেবে। শুধু লিখেই ক্ষান্ত হননি, নগর ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষায় এগিয়ে এলেন নানাভাবে। প্রতিষ্ঠা করলেন ঢাকা নগর জাদুঘর। সেন্টার ফর ঢাকা স্টাডিজ করে উদ্যোগ নিলেন দুর্লভ গ্রন্থ প্রকাশের।

বহুমাত্রিকতায় নগর ঢাকার ইতিহাস বিনির্মাণে দাঁড়ালেন বুড়িগঙ্গা রক্ষার আন্দোলনে। পাঁচ দশক ধরে ক্রমাগত লেখনি, রাজপথের গণতান্ত্রিক আন্দোলন তাকে এই সাধারণের মনে স্থান দিয়েছেন। নানা প্লাটফর্মে নানামুখী ভূমিকা, একইসঙ্গে কলমে ও রাজপথে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত করেছেন।
এসএ/