ভিন্ন এক ঈদ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ২৪ মে ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০১:০২ পিএম, ২৪ মে ২০২০ রবিবার
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আনন্দের এ দিনটিকে ঘিরে বরাবরই খুশির সীমা থাকে না। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। ঘরে ঘরে সামর্থ্য অনুযায়ি বাহারি নানা খাবারের আয়োজন। ছোট-বড় সবার পরনেই থাকে নতুন কাপড়। বাবা-ছেলে, ভাই-বন্ধু সকলে মিলে দলবেঁধে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া। একের বাড়িতে অন্যের নিমন্ত্রণ। আরো কত কি আনন্দ যে নিহিত থাকে ঈদকে ঘিরে বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু এবার এক অন্যরকম ঈদ করছি আমরা।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় টালমাটাল সারা দুনিয়া। আমাদের দেশেও এ ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রতিদিনই দেশজুড়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। লকডাউনের কারণে সব মানুষই প্রায় ঘরবন্দি। তাই চাইলেও গতানুগতিক ভাবে ঈদ পালন করা যাবে না এই বছর। কারণ এতে রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকির কথা চিন্তা করে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদের নামাজও বাড়িতে পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইসলামের উৎপত্তিস্থল সৌদি আরবে আজ রবিবার পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের ঈদে সৌদি আরবে বড় জমায়েত এবং জনগণের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটিতে ঈদের ছুটিতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস যে শুধু মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদে প্রভাব ফেলছে তা কিন্তু নয়। গত মাসে খ্রিস্টানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ইস্টারও কোন রকম আয়োজন ছাড়াই পালন করা হয়।
এদিকে অনেক দেশেই অনলাইনে লাইভস্ট্রিমিং'র মাধ্যমে ঈদের নামাজ দেখানো হবে। যুক্তরাজ্যে ইমামরা হোয়াটসঅ্যাপ এবং লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে ঈদের নামাজ দেখিয়ে মুসলমানদেরকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। যদিও তারা বলছেন গতানুগতিক ঈদের সঙ্গে এই ভার্চুয়াল ঈদ উদযাপন কখনোই মিলবে না।
তবে এবারের রমজান যেমন ছিল ভিন্ন, ঠিক তেমনি ঈদও ভিন্ন। এবার নেই কােলাকুলি, নেই অতিথি আপ্যায়ন। ঘরে বসে ইবাদত বন্দিগির মধ্য দিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ হবে উদযাপন।
কাল বাংলাদেশে ঈদ। এ অবস্থায় একটাই চাওয়া প্রাণঘাতী করোনার দুর্ভোগ আর আম্পানের মত সাইক্লোনের আঘাত ফিরে না আসুক আবার। বারবার ফিরে আসুক ঈদের চিরচেনা আনন্দের রূপ। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে থাকুক সারাবছর, সকলের জীবন। অচেনা এই ভিন্ন ঈদে এটাই হোক প্রার্থনা।
এসএ/