বিরামপুরে কয়েকটি গ্রামে ঈদ উদযাপন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ২৪ মে ২০২০ রবিবার
দিনাজপুরের বিরামপুরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিলরেখে দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তবে কোলাকুলি করতে নিষেধ ও সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশনা থাকলেও কোনটিই পালন করা হয়নি।
আজ রোববার সকাল ৮টায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের জামে মসজিদে এবং ৭টা ৪৫ মিনিটে বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া বাজার জামে মসজিদে পৃথক দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫টি গ্রামের প্রায় ১শ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
একটিতে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন কাজি এবং অন্যটিতে মাওলানা ইলিয়াস আলী ইমামতি করেন। ঈদের জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সময় হওয়ার আগে থেকেই দূর দুরান্তের গ্রামগুলো বিভিন্ন যানবাহনে করে ঈদের নামাজে অংশ নিতে দেখা যায়। এদিকে, বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
মাওলানা দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, ‘সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘন্টা। আর এই তিন ঘন্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না, তাই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে এই ঈদের নামাজ আদায় করা।’
তিনি বলেন, ‘হযরত মুহাম্মদ (স.) জম্মগ্রহণ করে ১২ রবিউল আওয়াল সোমবার কিন্তু যদি দিন ধরা হয় তাহলে আমাদের দেশে সেই দিন হয় মঙ্গলবার। আবার রমজানে ২৭ তারিখে আমরা ‘লাইলাতুল কদর’ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুঁজি কিন্তু দিন হিসেবে আমরা একদিন পর সেই রাতকে খুঁজতেছি। এমন বিভিন্ন চিন্তা ও হাদিসি ব্যাখ্যার কারণেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উযদাপন করছি ‘
মাওলানা দোলোয়ার আরও বলেন, ‘আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও গত ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এই গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার মুসল্লির সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আগাম ঈদের জামাতে যাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল ও শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
সামাজিক দূরত্ব মানা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মসজিদের মুসল্লির সংখ্যা কম ছিলো, একটিতে ২০ অপরটিতে ৩০ জনের মতো। দুটি ইউনিয়নে ছোট দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।’
এআই//এসি