বিদ্যুৎহীন বেনাপোল-শার্শা, জেনারেটর দোকানে উপচে পড়া ভিড়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২৫ মে ২০২০ সোমবার
ভ্যান ও মোবাইলে চার্জ দেয়ার চিত্র।- ছবি একুশে টিভি।
সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়া যশোরের বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় এখন মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ব্যাটারি চার্জ দিতে জেনারেটর ব্যবহৃত হচ্ছে। আর সে কারণে ঈদের মার্কেটে কেনাকাটার মতো ভিড় করছে জেনারেটর দোকানগুলোতে।
পুরো উপজেলার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গত বুধবার দুপুরেই। পরে সরকারি দপ্তরগুলোতে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও বাড়িঘর ও বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎহীন। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও বলতে পারছেন না পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার ব্যবসা শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
উপজেলার জামতলা বাজারের শিমুল হোসেন বিভিন্ন ব্যাটারির চার্জ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ দিতে নিচ্ছেন ২০ টাকা, অটোরিকশার ব্যাটারির জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭৫ টাকা। টেংরা গ্রামের শামিম আহমেদ ২০ টাকা দিয়ে তার মোবাইল ফোনের ব্যাটারির চার্জ নিয়েছেন বলে জানান।
বেনাপোলের আজিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে আয় করি ৪০০ টাকা। কারেন্ট নেই বলে জেনারেটরে চার্জ দিতে হয়। ঘণ্টায় চার্জ খরচ দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। করোনাভাইরাস আর আম্পান আমাদের শেষ করে দিয়ে গেল।
বেনাপোলের অনেকে এখন ব্যাটারি চার্জ দেয়ার ব্যবসায় নেমেছেন। শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যাটারি চার্জারের দোকানদার বলেন, বিদ্যুৎ নেই। তাই জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, ব্যাটারি, চার্জার লাইটে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এতে দিন শেষে হাজার খানেক টাকা লাভ হয়ে থাকে।
উপজেলার নাভারন, বাগআঁচড়া, গোগা, শার্শা, জামতলা, উলাশী, ডিহি, শাড়াতলা, নিজামপুর, লক্ষ্মণপুর ও কাশিপুর, বেনাপোলের বেনাপোল, বাহাদুরপুর, পুটখালি, বারপোতাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে দীর্ঘ লাইন।
এদিকে কবে নাগাদ শার্শার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও বলতে পারছেন না পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) হাওলাদার রুহুল আমিন বলেন, এই অফিসের আওতায় গ্রাহক সংখ্যা এক লাখের অধিক। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে এই এলাকার দুইশ’র উপর বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়েছে কয়েক হাজার জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা তিনি বলতে পারেননি। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহে।
এনএস/