ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় দু’বার ‘মৃত্যু’ ঘোষণার পরও বেঁচে উঠেছে এই মেয়েটি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ২৫ মে ২০২০ সোমবার

চিকিৎসকরা দু’বার মৃত বলে ঘোষণা করার পরও করোনা থেকে আশ্চর্যজনকভাবেই বেঁচে উঠেছে ছোট্ট একটি মেয়ে! ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কভিংটনে। এই শহরের বারো বছরের ছোট্ট মেয়ে জুলিয়েট ডেলি আজও বেঁচে আছে। কী হয়েছিল তার, জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেননি জুলিয়েটের অভিভাবকরা। জানা গেছে, যখন তখন হঠাৎ করেই ঘুমিয়ে পড়ছিল জুলিয়েট। শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি বা ভাইরাসের কোনও উপসর্গই ছিল না। কিন্তু এর এক সপ্তাহ পর থেকেই জ্বর, বমি আর তলপেটে ব্যথা শুরু হয় মেয়েটির। কয়েকদিন পর জুলিয়েটের অভিভাবকরা লক্ষ্য করেন মেয়ের ঠোঁট নীলচে ফ্যাকাশে। ভয় পেয়ে যান তাঁরা। মেয়েকে নিয়ে ছুটে যান নিকটবর্তী এক হাসপাতালে।

সেখানকার চিকিৎসকরা জুলিয়েটকে পরীক্ষা করে দেখেন। তবে তার মধ্যে করোনাভাইরাসের স্বাভাবিক লক্ষণগুলো দেখতে না পেয়ে অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দেন। ওই হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান জেনিফার অনুমান করেন, জুলিয়েটের হয়তো অ্যাপেন্ডিসাইটিসে বা পাকস্থলিতে কোনও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে। এই অনুমানের ভিত্তিতেই চিকিৎসা শুরু হয় জুলিয়েটের।

কিন্তু এরপর থেকেই দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে মেয়েটির। চিকিৎসকরা দেখেন, জুলিয়েটের হৃদস্পন্দনের গতি অস্বাভাবিক কমে গিয়েছে। সাধারণত মিনিটে ৭০ থেকে ১২০ হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক, সেখানে জুলিয়েটের হৃদস্পন্দন ছিল মিনিটে মাত্র ৪০ বার। এই অবস্থায় মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। কিন্তু একটা সময় নিস্তেজ হয়ে যায় জুলিয়েট। নিয়ম মাফিক সব রকম চেষ্টা করে দেখার পর চিকিৎসকরা জুলিয়েটকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

কিন্তু মৃত ঘোষণা করার মিনিট খানেক পর চিকিৎসকদের চমকে দিয়ে আশ্চর্যজনকভাবেই কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে মেয়েটির শরীর। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, ফের সচল হচ্ছে তার হৃদযন্ত্র। চিকিৎসকরা জানালেন, মেয়েটির ফুসফুসে কোনও ভাবে রক্ত ঢুকে যাওয়ার ফলে এমনটা হয়েছে। 

এভাবে আরও একবার নিস্তেজ হয়ে যায় জুলিয়েট, সেবারও চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করে।  কিন্তু জুলিয়েট বেঁচে ওঠে।

শেষমেষ চিকিৎসকরা জানান, জুলিয়েটের এই অবস্থার জন্য দায়ী আসলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ‘মায়োকার্ডাইটিস’-এ আক্রান্ত হয়ে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে কপাল জোরে পর পর দুবার ওই ধাক্কা সামলে বেঁচে ফিরতে পেরেছে ওই কিশোরী। সূত্র: জি বাংলা নিউজ

এএইচ/