ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিশ্বজুড়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৬ লাখ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫২ এএম, ২৬ মে ২০২০ মঙ্গলবার

কোনভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না অদৃশ্য শত্রু করোনা ভাইরাসকে। যার প্রকোপে এখনও প্রতিদিনই ঘটছে রেকর্ড আক্রান্ত, স্বজন হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এশিয়া থেকে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আফ্রিকা সবখানে আঘাত হেনে দাপট অব্যাহত রয়েছে ভাইরাসটির। 

ইতিমধ্যে করোনার শিকার হয়েছেন বিশ্বের প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ। এরমধ্যে পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি জনকে। যার নতুন হটস্পট হতে চলেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো। 

অন্যদিকে, প্রতিদিনের আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হওয়ার হার অনেকটা কম। তারপরও প্রতিনিয়তই স্রষ্টার অপার কৃপায় বেঁচে ফিরছেন হাজার হাজার মানুষ। যার সংখ্যা পৌঁছেছে ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জনে। 

আজ বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯০ হাজার ১৮৪ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৯৬ জনের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে পৃথিবী থেকে গত হয়েছেন বিশ্বের ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৩ জন মানুষ।  

বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার শিকার বেড়ে হয়েছে ১৭ লাখ ৬ হাজার ২২৬ জনে। এর মধ্যে গত একদিনেই ১৯ হাজার ৭৯৮ জন মানুষের দেহে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। প্রাণ গেছে আরও ৫০৪ জনের। ফলে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের দেশে প্রাণহানি ৯৯ হাজার ৮০৪ জনে ঠেকেছে। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ব্রাজিলে পৌনে ৪ লাখ ছাড়িয়েছে সংক্রমণ। যেখানে প্রাণহানি সাড়ে ২২ হাজার ৫২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে আক্রান্ত ১১ হাজারের বেশি, মৃত্যু হয়েছে ৭৫৭ জনের। 

আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় করোনার শিকার সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ। সে তুলনায় অবশ্য প্রাণহানি অনেকটা কম পুতিনের দেশে। এখন পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ জনের।

নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ সাড়ে ৮২ হাজার ৪৮০ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৬ হাজার ৮৩৭ জনের। 

প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণহানি ৩৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। 

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও আংশিক লকডাউনে থাকা ইতালিতে ৩২ হাজার ৮৭৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ সাড়ে ৩০ হাজারের বেশি। 

এছাড়া, ইউরোপের আরও দুই রাষ্ট্র জার্মানি ও ফ্রান্সে কমতে শুরু করেছে আক্রান্ত ও প্রাণহানি। লকডাউন শিথিলের পথে দেশগুলো। 
 
আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতে। একদিন আগে দেশটি আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষ দশে ওঠে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এতে আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ প্রায় ৪৫ হাজার। নতুন করে প্রাণ গেছে ১৪৮ জনের। এ নিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ১৭২ জনে দাঁড়িয়েছে।  

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল সোমবার পর্যন্ত করোনার শিকার ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেঁচে ফিরেছেন ৭ হাজার ৩৩৪ জন। 

এআই//