ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তোরণ নিয়ে এমপি ও মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ২৬ মে ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:১৬ পিএম, ২৬ মে ২০২০ মঙ্গলবার

সেদিনের সংঘর্ষের চিত্র -ছবি একুশে টিভি।

সেদিনের সংঘর্ষের চিত্র -ছবি একুশে টিভি।

পটুয়াখালীর বাউফলে তোরণ নির্মাণ নিয়ে এমপি ও মেয়র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তাপস (২৫) নামে এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুর ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

বাউফল পৌর কার্যালয়ের ডা. এএফ নাসির মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র মো. জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর কাউন্সিলর বাবুল খান।

বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, পৌরসভার উদ্দেগে পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে করোনা সচেতনতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য বিধি নির্দেশনা সংম্বলিত ব্যানার স্থাপন করা হয়। ঘুর্ণিঝড় আম্পানে এসব ব্যানারের অধিকাংশ ছিড়ে বিনষ্ট হলে নতুন করে পুন:স্থাপনের অংশ হিসেবে ঈদের আগের দিন (২৪ মে) দুপুরের দিকে বাউফল থানা কমপ্লেক্স ভবনের পূর্ব পাশে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনের রাস্তায় খোলা স্থানে একটি ব্যানার স্থাপনের সময় ৩০-৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাধা দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে ও কাঠ-বাঁশ ভেঙে দেয় নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম ফারুক। 

খবর পেয়ে সেখানে সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতে সেখানে গেলে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে আমাকে ও ফারুক সাহেবকে নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন থানা কমপ্লেক্স ভবনের ভেতরে। কিন্তু ওই বৈঠক চলাকালে স্থানীয় এমপি আ. স. ম ফিরোজ সাহেবের ভাতিজা কালাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান মনির হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের বহিরাগত একটি সন্ত্রাসী দল এসে ফের ব্যানার স্থাপনের কাঠ-বাঁশ ভাংচুর ও উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের চোখের সামনে এক পরিচ্ছন্ন কর্মীকে মারধর করে। এ সময় পরিবেশ শান্ত করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজন সাংবাদিক ও অনতিদূরের একটি বাসার সিসি ক্যামেরায় ওই সময়ের পরস্থিতির ভিডিও ধারণ হয়। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন ওই ভিডিও ফুটেজ হস্তগত করার কথা জানা গেছে। 

পৌর এলাকার ভোটার না হয়েও পৌরসভার সরকারি কাজে বাধা দিয়ে তারা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ও লাশের রাজনীতি শুরু করেছে। জানা গেছে, রাস্তার ওপর ঘটনা ঘটলেও সেখানে কোনো রক্তের চিহ্ন মেলেনি। তাপসকে পুলিশ ডাক বাংলোর মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন। সেখানে আমাদের কোনো নেতা-কর্মী প্রবেশ করেনি। অথচ সেখান থেকেই নাকি তাপসকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের করা হয়। আমিও তাপস হত্যার বিচার চাই। খুনের আসল রহস্য উদ্ঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা উপজেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, পটুয়াখালীর বাউফলে তোরণ নির্মাণ নিয়ে এমপি ও মেয়র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কালাইয়া বন্দর এলাকার বদু দাসের ছেলে যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (৩৪) রোববার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এনএস/