নাটোরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ,আটক ২
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৬ পিএম, ২৬ মে ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৩৮ পিএম, ২৬ মে ২০২০ মঙ্গলবার
নাটোরের গুরুদাসপুরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন গ্রুপ ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা বজলুর রশীদ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মতিন গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন ও বাড়ী ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়েনের ঝাউপাড়া বিন্নাবাড়ি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন (৫০) ও তাঁর সমর্থক আব্দুল মতিন (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ। মতিন চেয়ারম্যান গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) ও সমর্থক মতিন থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ঝাউপাড়া গ্রামের বীজ ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বজলুর রশীদ গতকাল সোমবার ৩০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন।গুরুদাসপুর থানা পুলিশ বাড়িঘর ভাংচুরের ও চেয়ারম্যানের সমর্থককে আটকের খবর নিশ্চিত করলেও গুলি ছোঁড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে ঘটনাস্থলে একটি গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। গুলির খোসার ছবিটি গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
প্রতিপক্ষ বজলুর রশীদ অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যানের সাথে কোন বিরোধ নেই তাঁর। শুধুমাত্র গরিবদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ করায় চেয়ারম্যান তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের বড়ভাই সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ দাবী করেন, তাঁর ভাই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য ঝাউপাড়া গ্রামে পৌঁছালে বজলুর রশীদের সমর্থকরা তাঁর ভাইকে গালমন্দসহ হেনস্থা করেন।পরে তাঁদের সমর্থকরা চেয়ারম্যানকে আনার জন্য ঝাউপাড়া গ্রামে যান। তবে গুলি ছোঁড়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহরুল ইসলাম বলেন, ঝাউপাড়া গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গুলি ছোঁড়া,বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
নাটোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আনারুল ইসলাম বলেন,চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গুলি ছোঁড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেআই/