করোনার মধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি চীন-ভারতের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ২৭ মে ২০২০ বুধবার
করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে চীন-ভারত। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) ওপারে চীন সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন বাড়ালে ভারতও পাল্লা দিয়ে সৈন্য মোতায়েন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সামরিক বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট সে দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে সেনা প্রশিক্ষণ বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। গতকাল ভারত থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে চীন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত ও তিন সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার আগে মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
ভারত-চীন সীমান্তের তিনটি সেক্টরই এখন উত্তপ্ত। গত ৫ মে থেকেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত চলছে। ‘ফিঙ্গার থ্রি’ ও ‘ফিঙ্গার ফোর’-এর মধ্যে রাস্তা তৈরির কাজে চীন প্রথম আপত্তি তোলে। একই সঙ্গে গালওয়ান ভ্যালির সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তার কাজেও চীনের রয়েছে আপত্তি। গত ৫ মে রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাঙ্গং লেকের কাছে চীন ভারতীয় সৈন্য বাহিনীকে বাধা দেয়। তারপর থেকেই ওই এলাকায় দেশ দুটির সৈন্যরা পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
চীনের সৈন্যবাহিনীকে কী ভাবে সামাল দেওয়া যায় তা নিয়ে তিন সামরিক বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে সবাই একমত হন যে, এই বিবাদের মীমাংসা একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। কূটনৈতিক স্তরেই এর সমাধান সম্ভব। কিন্তু যত দিন তা না-হচ্ছে, তত দিন ভারতীয় সৈন্যরা নিজের অবস্থান থেকে নড়বে না।
চীন যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে আরও বেশি সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করে, ভারতও পাল্লা দিয়ে সৈন্য-যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে। জানা যায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চীন প্রায় দশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এছাড়া তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতে চলছে নির্মাণকাজ। সেখানে রাখা হয়েছে বেশ কিছু যুদ্ধবিমানও।
এএইচ/