সাধারণ ছুটি বাড়ছে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ২৭ মে ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৬:১৬ পিএম, ২৭ মে ২০২০ বুধবার
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস-আদালতে কাজ করতে হবে। তবে বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীরা এর আওতামুক্ত থাকবেন। আজ বুধবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস-আদালতে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীদের অফিসে আসতে হবে না। সেইসঙ্গে গণপরিবহনও চলবেনা। স্কুল, কলেজ ১৫ জুন পর্যন্ত আপাতত বন্ধ থাকবে।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে যোগ দেয়ার জন্য আসতে হবে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রীর সাইন হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
গত ২৬ মার্চ থেকে সাত দফা ছুটি বাড়ানোর পর সর্বশেষ সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত ঘোষণা করা আছে। এবার ঈদের মধ্যেই পড়েছে টানা ৬৭ দিনের এই ছুটি। সোমবার ঈদ উদযাপন ও পরে সপ্তাহিক ছুটি শেষে আগের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে রোববার থেকেই অফিস খোলা থাকার কথা ছিল।
এদিকে, মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট ৫৪৪ জন মারা গেলেন করোনায়। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৪১ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৯২ জনে।
আজ (২৬ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে আট হাজার ১৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও এক হাজার ৫৪১ জনের দেহে।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৪৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত হাজার ৯২৫ জনে।
ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৩ হাজার ৮৭৯ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৪১ জনের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে পৃথিবী থেকে গত হয়েছেন বিশ্বের ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৪ জন মানুষ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এনএস/