ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ক্ষোভে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব ধরণের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের হুমকি দিলেন। বুধবার টুইটারকে একহাত নিয়ে গিয়ে এমন ভাবে চটে গেলেন তিনি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান টুইটার ট্রাম্পের একটি পোস্টে প্রথমবার ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ সতর্কতার লিংক জুড়ে দেয়। ওই লিংকে গেলে বোঝা যায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির শীর্ষ নেতার টুইটের দাবি ‘মিথ্যা’। এই ঘটনায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী টুইটে কোম্পানিটি বাকস্বাধীনতার সম্পূর্ণ কণ্ঠরোধ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্প পাল্টা টুইটে আরও বলেন, রিপাবলিকানরা মনে করে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো রক্ষণশীলদের কণ্ঠকে পুরোপুরি চুপ করিয়ে দিয়েছে। আবার এমনটি হতে দেয়ার আগে আমরা শক্তভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করব নয়ত তাদের বন্ধ করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন,  আমরা বড় আকারে মেইল-ইন-ব্যালেট পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারি না। তাহলে এটি প্রতারণা, জালিয়াতি ও ভোট চুরিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে তারা কী করেছিল আমরা দেখেছি। তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কিত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন বলে তার এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন। তবে এই ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। 

নভেল করোনা ভাইরাসের সময় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটার বুথে গিয়ে ভোট দিতে চান না। একটি জরিপে এমন ফলাফল আসায় আমেরিকায় ‘মেইল-ইন ব্যালট’ পদ্ধতি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই পদ্ধতির বিষয়ে ট্রাম্প মঙ্গলবার একটি টুইট করেন।

ট্রাম্পের দাবি ‘মেইল-ইন ব্যালট’ পদ্ধতি অনুসরণ করলে বক্স ছিনতাই করা হবে এবং জাল ব্যালট পড়বে। তাই এটির সম্ভাবনা শূন্য।

এভাবে ডাকের মাধ্যমে ব্যালট পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ভোট হয়। ১৭টি রাজ্যের ভোটারদের এই সুবিধা পেতে হলে ‘উপযুক্ত কারণ’ দেখিয়ে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু মহামারীর সময় সবাই এখন এই সুবিধা চাইছেন।

ট্রাম্পের বিভ্রান্তিকর পোস্টের নিচে টুইটার তাদের নতুন নীতিমালার অংশ হিসেবে নীল রংয়ের ফ্যাক্ট-চেকিং ল্যাবেল জুড়ে দেয়।

টুইটারের জুড়ে দেয়া লিংকে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীরা সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন গণমাধ্যমের নিউজে যুক্ত হন। সেখানে লেখা ছিল ‘আপনি কী জানতে চান’। এই অপশনে টুইটার জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্টের দাবি মিথ্যা।
এসএ/