যমুনায় নৌকাডুবি: ১০ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৯
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
তীরে ভেসে আসা একজনের লাশ- ছবি একুশে টেলিভিশন।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার স্থলচরে যমুনায় ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার খাসকাউলিয়া আজিমুদ্দি মোড় ও ঘুসুরিয়া থেকে আরো ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১০ জনের লাশ উদ্ধার হলেও এখনো ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাবার পথে স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে প্রচণ্ড বাতাসের কবলে পড়ে। তখন ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যমুনায় ডুবে যায়। ওইদিনই স্থানীয়রা ৫৪ জনকে জীবিত ও ৫ জনকে মৃত উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৩ জনের লাশ স্থলচর, এক জনের জোতপাড়া ও আরেক জনের লাশ কুকুরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এরা হলো- বেলকুচির গয়নাকান্দি গ্রামের মৃত জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছির শামীম হোসেনের ছেলে নাইম হোসেন (৪), শাহজাদপুরের কৈজুরীর জয়পুরার আমজাদ হোসেন (৪৫) ও আজিজুল হক (৩৫)।
পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আজিমুদ্দি মোড় এলাকা থেকে ৩ জন, স্থলচর থেকে ১ জন ও ঘুসুরিয়া থেকে ১ জনের লাশ নদীতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে, বাকি নিখোঁজ যাত্রীদেরও সলীল সমাধী হয়েছে।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছে, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবি মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিল। নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলাই এই নৌকা ডুবির জন্যও অনেকটা দায়ী।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ জানান, ঈদের পরে এমন ঘটনায় পুরো জেলাবাসী শোকাহত। নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আহতদের সহায়তা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এনএস/