ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বাড়িতে করোনা চিকিৎসায় ছয়টি বিষয়কে প্রাধান্য দিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

বিশ্বে যত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের ৮০ শতাংশেরও বেশি বাসায় থেকে নানাভাবে উপশমের চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। যে কোন ব্যক্তির ভেতর যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, তখন তিনি আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। এরকম অবস্থায় একটুও আতঙ্কগ্রস্থ না হয়ে ছয়টি বিষয়কে প্রাধান্য দিন।

সর্বপ্রথমে মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেবার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

১. নিজেকে বিচ্ছিন্ন করুন
যদি সন্দেহ হয় যে আপনার মধ্যে করোনাভাইরাসের এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন বা আইসোলেট করুন। এতে করে অন্যদের মাঝে সংক্রমণের আশংকা কমে আসবে। সবাই যদি একসঙ্গে আক্রান্ত হন, তবে বিপদ আরও বেশি। কেউ কারও সহযোগিতায় আসতে পারবেন না। তাই নিজেকে আইসোলেট করুন।

২. জ্বর আসলে কী করবেন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থামানোর যেহেতু কোন ওষুধ নেই সেজন্য সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয় সেগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে- প্যারাসিটামল খাওয়া এবং গার্গল করা করা যেতে পারে। জ্বর এলে আতঙ্কিত না হয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

৩. কফ থাকলে যা করবেন
যদি আপনার কফ জমে থাকে, তাহলে বসার সময় পিঠে ভর দিয়ে কিংবা হেলান দিয়ে না বাসাই ভালো। মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এতে কফ কিছুটা হালকা হয়ে আসতে পারে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, কফ হালকা করার জন্য এক চামচ মধু খেতে পারেন। এতে উপকার হতে পারে। তবে বারো বছর বয়সের নিচে বাচ্চাদের মধু দেবেন না।

৪. টেস্ট সেন্টারের ফোন নম্বর রাখুন
বাংলাদেশে এখন ৪৫টির মেতো ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের টেস্ট করানো হচ্ছে। আপনার নিকটস্থ টেস্ট সেন্টার কোথায় হতে পারে সে সংক্রান্ত খোঁজ রাখুন। এখন কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাসায় গিয়ে নুমনা সংগ্রহ করছে। তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।

৫. অক্সিজেন ভাড়া নিতে পারেন
শ্বাসকষ্ট হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটোছুটি করতে করতে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হয়। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় অক্সিজেন দিতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, কোভিড১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাই ফ্লো অক্সিজেন দিতে হবে।

৬. টেলিমেডিসিন সম্পর্কে জেনে রাখুন
করোনা সংক্রমণের এই সময়টিতে অনেক চিকিৎসক রোগীদের সরাসরি দেখছেন না। অধিকাংশ ডাক্তারের চেম্বারও বন্ধ। তবে গত দুইমাসে বহু ডাক্তার টেলিফোন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বেশকিছু সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডাক্তারদের মাধ্যমে টেলিফোনে অথবা ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। বেশিরভাগে ক্ষেত্রে রোগীদের উদ্বেগ প্রশমনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা। 

তাই যেসব প্রতিষ্ঠান এ ধরনের সুবিধা দিচ্ছে তাদের ফোন নম্বর হাতের কাছে রাখতে পারেন। টেলিফোন নম্বর জানা থাকলে প্রয়োজনের সময় দ্রুত কাজে লাগবে। সূত্র: বিবিসি

এএইচ/