দল থেকে বহিষ্কার মাহাথির মোহাম্মদ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০১ পিএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
ক্ষমতাসীন সরকারকে সমর্থন না দেয়ার কারণে মাহাথিরকে বহিষ্কার করা হয়- মালয় মেইল
যে দলের জনক মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। সেই দল থেকেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে চারজন সংসদ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। চলতি মাসের ১৮ তারিখে দেশটির অধিবেশন চলাকালীন সময়ে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহিদ্দিন ইয়াসিনের নেতৃত্বে তাকে বহিষ্কার করা হয়। খবর মালয় মেইল ও দ্যা স্টার’র।
ইউনাইটেড ইনডিজিনাস পার্টি অফ মালয়েশিয়ার নির্বাহী সম্পাদক মুহাম্মাদ সুহাইমি ওয়াা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দলের গঠনতন্ত্রের ১০.২. এবং ১০.২.৩ ধারা ভঙ্গ করার দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আসনে গিয়ে বসায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা যায়। মাহাথিরের সদস্যপদ তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। মালয় ভাষায় বারসাতু নামে পরিচিত এই রাজনৈতিক দলটির সরকার বর্তমানে মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছে; যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মহিদ্দিন ইয়াসিন। ক্ষমতাসীন সরকারকে সমর্থন না দেয়ার কারণে মাহাথিরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মহিদ্দিনের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে গত ১৮ মে দেশটির পার্লামেন্টের আস্থাভোটের ডাক দেন মাহাথির মোহাম্মদ। ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্য নিয়ে এই আস্থা ভোটের ডাক দেয়া মাহাথির হতাশ হন যখন দেশটির রাজা আব্দুল্লাহ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত করায়। পরে মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়ায় গণতন্ত্র আর বেঁচে নেই।
৯৫ বছর বয়সী মাহাথির দেশটির এই রাজনৈতিক দলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং দলটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন এক সময়। গত ফেব্রুয়ারিতে সরকার প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিনের ক্ষমতা ভাগাভাগির লড়াইয়ের পর জোট ভেঙে গেলে ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন মাহাথির। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। কিছুদিন পর ইস্তফা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও তা নিয়ে সময়ক্ষেপণ শুরু করেন মাহাথির। যা পরবর্তীতে সরকার ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত গড়িয়ে ক্ষমতা হারান দেশটির তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় নতুন সরকার গঠন এবং সাবেক বিরোধী মিত্রদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করে নিন্দা জানান।
এমএস/এসি