ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

করোনায় না ফেরার দেশে ৩ লাখ ৬২ হাজার মানুষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৩ এএম, ২৯ মে ২০২০ শুক্রবার

উৎপত্তির প্রায় পাঁচ মাস হতে চললো। এরিই মধ্যে প্রাণঘাতি করোনায় বিশ্বের প্রায় ৩ লাখ ৬২ হাজার মানুষ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। তারপরও থেমে নেই প্রকোপ। যাতে প্রতিনিয়িত শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। 

তবে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও বেঁচে ফিরেছেন পৌনে ২৬ লাখের বেশি মানুষ। কার্যকরি কোন টিকা কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হওয়ায় সংক্রমণের তালিকা প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। যা ৫৯ লাখ ছাড়িয়েছে। 

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ৫৯ লাখ ৯০৭ জন মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ জন। 
নতুন করে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৬১২ জনের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে পৃথিবী ছেড়েছেন বিশ্বের ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫৪৯ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯১ জন। 

এর মধ্যে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৩ হাজার ৩৩০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬১ জনের দেহে। যদিও দেশটিতে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। 

প্রতিদিনের আক্রান্তের হারে শীর্ষে এখন লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশটিতে একদিনেই ২৪ হাজার ৫৩ জনের দেহে চিহ্নিত হয়েছে ভাইরাসটি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আর এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ হাজার ৭৬৪ জন মানুষ। যদিও বেঁচে ফেরার সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই ছুঁই।  

আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় করোনার শিকার ৩ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ। সে তুলনায় অবশ্য প্রাণহানি অনেকটা কম পুতিনের দেশে। এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণহানি ৪ হাজার ১৪২ জন। 

নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ৮৫ হাজার। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ১১৯ জনের। 

প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ ৬৯ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। 

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও আংশিক লকডাউনে থাকা ইতালিতে প্রাণহানি ৩৩ হাজার ১৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ জন। এছাড়া, আক্রান্ত ও প্রাণহানি কমেছে ইউরোপের দুই রাষ্ট্র জার্মানি ও ফ্রান্সে। 
 
আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতে। সংক্রমণ ছড়ানোয় এবার তুরস্ককে ছাড়িয়েছে দেশটি। যেখানে আক্রান্ত ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি।  প্রাণ গেছে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৭১১ জনের। 

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনার শিকার ৪০ হাজার ৩২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেঁচে ফিরেছেন ৮ হাজার ৪২৫ জন। 

এআই//