ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর সাড়ে চার কিলোমিটার দৃশ্যমান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ৩০ মে ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১১:০৩ এএম, ৩০ মে ২০২০ শনিবার

পদ্মা সেতুর ৩০তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সাড়ে চার কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। ৩০টি স্প্যান বসানোর পর বাকি আছে মাত্র ১১টি স্প্যান। সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিয়ারে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে এই ৫-বি স্প্যান বসানো হয়।

শনিবার (৩০ মে) সকালে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের এই খবর নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, ‘এই ৩০টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়া প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে ১০টি, মাঝে স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে একটি ও জাজিরা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে ১৯টি। লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতেও সেতুর চারটি স্প্যান বসানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে মূল সেতুর দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৫৯৪টি এবং দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে এক হাজার ১০৫টি স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৪৮৪টি সুপার টি-গার্ডারের মধ্যে ১৪৮টি স্থাপন করা হয়েছে।’

করোনার সময় কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো প্রকল্পটিই আইসোলেটেট। তাই এখানকার দেশি-বিদেশি কর্মীরা অনেকটাই নিরাপদ। এখানে নিরাপদ দূরত্ব বজায়ে রেখে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। বাইরের কাউকেই এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভেতরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ২৯টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।

এমবি//