ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ট্রেন চলতে শুরু করলেও নাটোর থেকে ওঠেনি কোন যাত্রী 

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ১ জুন ২০২০ সোমবার

সরকারি নির্দেশনা অনুসারে রোববার থেকে সীমিত পরিসরে আবারও ঘুরতে শুরু করেছে ট্রেনের চাকা। উত্তারাঞ্চল থেকে নাটোর হয়ে ঢাকাগামী দুটি ট্রেন পুনরায় চলতে শুরু করলেও এ জেলা থেকে উঠতে কিংবা নামতে দেখা যায়নি কোন যাত্রীকে।  

তবে অনেকেই ট্রেনের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। টিকিট না পাওয়ায় যেতে পারেননি। ট্রেন দু’টির একটি পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন মধ্যবর্তী স্টেশন নাটোরে কোন স্টপেজ নেই। ফলে ট্রেনটি রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে থ্রুপাস করে নাটোর স্টেশন। অপর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালমনির হাট থেকে সোমবার দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটের সময় নাটোর স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। 

স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর সাথে সাথে গার্ড ও এ্যাটেনডেন্সসহ ৩ জন করে নিরাপত্তা কর্মী ট্রেনের বগির গেটে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন। এসময় কোন যাত্রীকে উঠতে বা নামতে দেখা যায়নি। প্রতিটি কক্ষে ৬০ জন করে বসার পূর্বের ব্যবস্থা থাকলেও ছিলেন ৩০ জন করে। ট্রেনটি ৩ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। 

স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানান, এই ট্রেনের জন্য ১৩টি আসন বরাদ্দ ছিল, যা অনলাইনে বিক্রিও হয়েছে। কিন্তু ট্রেনটি নাটোর প্লাফরমে থামার পর কোন যাত্রীকে উঠতে দেখা যায়নি। নাটোরের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষের আসনগুলিও শুন্য ছিল না।

এদিকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরুর ঘোষণার পর থেকে নাটোর স্টেশন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা-নামা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘোষণার পর যাত্রীদের অনেকেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য স্টেশনে টিকিট নিতে আসেন। কিন্তু অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম বেঁধে দেওয়ায় তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। এদিকে অনলাইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেক যাত্রীকে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

রোববার দুপুরের পর জিরো পয়েন্ট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তুনগর দুটি ট্রেন নাটোর স্টেশনে আসে। এর একটি পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন। যেটা নাটোর স্টেশনে স্টপেজ নেই। অপরটি লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন। এই দুটি ট্রেন যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে ট্রেন ছাড়ার খবরে অনেকেই স্টেশনে আসেন টিকিট কাটার জন্য। কিন্তু কাউন্টার থেকে কোন টিকিট সরবরাহ না করায় দুর্ভোগে পড়তে হয় বেশ কিছু যাত্রীকে। 

নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার  অশোক কুমার চক্রবতী, ‘এই স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেনে ২৫ থেকে ৩০টি করে টিকিট বরাদ্দ থাকলেও বর্তমানে অর্ধেক টিকিট ছাড়া হয়েছে। সোমবার থেকে দু’টি করে ট্রেন উত্তরাঞ্চল থেকে নাটোর হয়ে ঢাকায় চলাচল শুরু হয়েছে। এসব ট্রেনের টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে যাত্রীদের। এ কারণে কাউন্টারে কোন টিকিট দেয়া হচ্ছে না। যারা টিকিটের জন্য স্টেশনে এসেছিলেন তাদেরকে অনলাইনে টিকিট কাটার বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথাসময়ে নাটোর স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ট্রেনটিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইনে টিকিট নেয়ায় পূর্বের স্টেশন এলাকার যাত্রী সাধারণরা হয়ত টিকিটগুলো অনলাইনের মাধ্যমে নিয়েছেন। এ কারণে নাটোরের যাত্রীরা যাওয়ার সুযোগ পাননি।’

এআই//