হোয়াইট হাউসের সামনে পুলিশ-বিক্ষোভকারী তুমুল সংঘর্ষ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১ জুন ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১২:২৯ পিএম, ১ জুন ২০২০ সোমবার
ছবি-এনডিটিভি
শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের নির্মম হত্যার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে।
রোববার রাতে বিক্ষোভের সময় হোয়াইট হাউসের কাছেই অবস্থিত ঐতিহাসিক সেন্ট জন’স চার্চে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও এএফপি।
রোববার ওয়াশিংটনের লাফায়েট স্কয়ার থেকে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী মিছিল নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়।
সন্ধ্যা নামার পর তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা আমেরিকান পতাকা ও বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তাদের থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময়েই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমল সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় হোয়াইট হাউস এলাকা।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে হোয়াইট হাউজের পাশেই ঐতিহাসিক সেন্ট জন’স চার্চে কয়েক দফা আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
চার্চে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে যাতে পৌঁছাতে পারে সেজন্যে পুলিশ টিয়ারগ্যাস মেরে বিক্ষোভকারীদের
হটিয়ে দেয়।
এরপর বিক্ষোভকারীরা আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনের অফিসে হামলা করে। অফিসের জানালা দরজার কাঁচ ভেঙে ফেলা হয় এবং ভেতরের লবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
প্রসঙ্গত ২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠে। এরপর থেকে টানা ৬দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।
দেখুন ভিডিও-
এমবি//