ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১২

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ৩ জুন ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৫:২৯ পিএম, ৩ জুন ২০২০ বুধবার

সংঘর্ষের চিত্র -ছবি একুশে টেলিভিশন।

সংঘর্ষের চিত্র -ছবি একুশে টেলিভিশন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ভাংচুর কর হয়। 

বুধবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিক মিয়াসহ ১২ জনকে আটক করে। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে পুকুরে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র সাহেবনগর বাজারে এলাকার হোসেন আলির বাড়ির রাব্বানি মিয়াকে মারধোর করে একই এলাকার মাঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়ির সুমন মিয়া ও তার লোকজন। এর জের ধরে আজ সকালে উভয় বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ আতিক মিয়াসহ উভয়পক্ষের ১২ জনকে আটক করে। 

আহতদের মধ্যে- রাব্বানি মিয়া (৪৫), কাউছার মিয়া (৩৮), কালু মিয়া (৪২), হাফিজ মিয়া (৪৬), জাহাঙ্গীর মিয়া (৪১), আউয়াল মিয়া (৪০), সামদানি (৩১), শামীম মিয়া (২৯), উবায়দুল্লাহ (৩৩) ও এনাম মিয়াকে (৫০) নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। আর মারাত্মক আহত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ মকবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ইউপি সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করেছে।

এনএস/