ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সেনা অভিযান নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে বিভক্তি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ৪ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ও বর্ণবাদের অবসানের দাবিতে চলা বিক্ষোভ দমাতে দমনে সেনা অভিযানের ঘোষণা নিয়ে খোদ ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যেই বিভক্তি দেখা গেছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নন। অনেকে মনে করেন, এই মতবিরোধিতার জেরে এসপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন ট্রাম্প। 

এ বিষয়ে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্যের বদলে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন।’ সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতবিরোধের জেরে ম্যাটিসকে বহিষ্কার করেছিলেন ট্রাম্প।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লয়েডের ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে তার মৃত্যুতে ভাইরাসের কোনো প্রভাব ছিল না। এর আগে আরও দু’টি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে, ফ্লয়েডের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ৯ দিনের বিক্ষোভ থেকে  ৯ হাজার ৩০০ আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৭০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলসে। নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেড় হাজার বিক্ষোভকারী। এ ছাড়া ডালাস, হিউস্টন, ফিলাডেলফিয়ার মতো শহরগুলো থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শত শত মানুষকে। তবে প্রকৃত গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে আটলান্টায় অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগে ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিনিয়াপোলিসে গত ২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠে। এরপর থেকে টানা ৯ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।

এমবি//