বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ৪ লাখ ছুঁই ছুঁই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৭ এএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার
ব্রাজিলের রাজধানী সাও পাওলোর একটি সমাধিস্থলে গণকবর খুড়ছেন শ্রমিকরা- ফিনানশিয়াল টাইমস
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আশার আলো দেখা যায়নি। ফলে উৎপত্তির এক শত পঞ্চান্নতম দিনে ভাইরাসটির শিকার পৃথিবীর প্রায় ৬৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ৪ লাখের কোটায়। শুক্রবার রাত ১১টায় বিশ্ব জরিপ সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৫ হাজার ১৪১ জন।
যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে করোনা তাণ্ডব চালিয়েছে গোটা ইউরোপে। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলে করোনার নতুন হটস্পট হয় লাতিন আমেরিকা। যেখানে ষাট হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী ব্রাজিল। ভাল নেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশুগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটছে বাংলাদেশেও। আর ইতোধ্যে সংক্রমণে উৎপত্তিস্থল চীনকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তান।
শুক্রবার বাংলাদেশ রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৪ জন মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ৩০ হাজার। নতুন করে প্রাণ কেড়েছে সাড়ে ৭ হাজার মানুষের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে মারা গেলেন ৩ লাখ ৯৫ হাজার ১৪১ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন।
এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত বেড়ে ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৮০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৪৮০ জনে ঠেকেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ২১ হাজার ৮৭৭ জনে পৌঁছেছে। প্রাণ গেছে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারে বেশি মানুষের। দেশটিতে গত একদিনে আবারও সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় করোনার শিকার ৪ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৫২৮ জনের।
নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ৮৭ হাজার ৭৪০ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ১৩৩ জনের। প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ প্রায় সাড়ে ৮৩ হাজার ৩১১ জন। মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ২৬১ জন। ৩৩ হাজার ৭৭৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে ইতালিতে। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩১ জন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও। আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনার পরবর্তী কেন্দ্র হতে চলেছে এ অঞ্চল। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী দেশ ভারত। যেখানে আক্রান্ত সোয়া ২ লাখের বেশি। সংক্রমণ তালিকায় শীর্ষ সাতে থাকা দেশটিতে করোনায় প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৬৩৭ জনের।
আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে বাংলাদেশে শুক্রবার পর্যন্ত করোনার শিকার ৬০ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৮১১ জন মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১২ হাজার ৮০৪ জন।
এমএস/এসি