ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

জেদ্দায় আবারও মসজিদে নামাজ বন্ধের ঘোষণা

সৌদি আরব প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৮:৩৭ এএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার

দীর্ঘদিন লকডাউন ও কারফিউ শিথিল হবার পর সৌদি আরবে জেদ্দায় আবারও মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি হবার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ শনিবার থেকে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত জেদ্দার সকল মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ থাকবে। সেইসাথে কারফিউয়ের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। 

এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়া যাবে। এ সময়ের মধ্যেই সকল কাজ-কর্ম সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

সেই সাথে জেদ্দা অঞ্চলের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনাও জারি করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অফিস আদালতে, সরকারি-বেসরকারি সব জায়গায় কাজের জন্য উপস্থিত হওয়া যাবে না। হোটেল ক্যাফেতে অভ্যন্তরীণ সার্ভিস দেয়া বন্ধ থাকবে।  কারফিউ চলাকালীন সময়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়া যাবে না। তবে অন্য সময়ে যেতে পারবে। 

পাশাপাশি পাঁচ-ছয় জনের বেশি লোক জমায়েত হওয়া যাবে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। ইতিপূর্বে যে সকল প্রতিষ্ঠান/পেশার লোকজনকে মুভমেন্ট করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তারা আগের মতো চলা ফেরা করতে পারবেন। 

এছাড়া, সৌদি আরবের অন্যন্য এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোন সময় প্রয়োজনীয় নতুন নির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধে সৌদি সরকার গত ২ই মার্চ থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত দীর্ঘদিন লকডাউন ও কারফিউ জারির করে। সেই সাথে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে গত ৩১শে মে থেকে কারফিউ ও লকডাউন শিথিল হবার পর থেকে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হলো দেশটির সরকার। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সৌদিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৯১ জন। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ৯৫ হাজার ৭৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে, সুস্থতার হারে অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। যেখানে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭০ হাজার ৬১৬ জন। 

অন্যদিকে, গত একদিনে নতুন করে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে প্রাণহানি ৬৪২ জনে ঠেকেছে। যেখানে ২৩২ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন।

এআই//