ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হাঁটু গেড়ে বিক্ষোভে সংহতি জানালেন ট্রুডো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার

যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার কানাডায় বর্ণবাদবিরোধী র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী অটোয়ায় পার্লামেন্ট হিলে সমবেত হয় বিক্ষোভকারীরা। সেই বিক্ষোভে কালো মাস্ক পরে হাজির হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি।

কানাডার পার্লামেন্টের সামনে 'নো জাস্টিস, নো পিস' নামক র‍্যালিটিতে জাস্টিন ট্রুডো একটি কালো মাস্ক পরে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় ট্রুডোর সঙ্গে তার দেহরক্ষীরাও ছিলেন। র‍্যালিতে অংশ নিয়ে ট্রুডো তিনবার হাঁটু গেড়ে বসে পরেন। এর মাধ্যমে তিনি ফ্লয়েডের প্রতি পুলিশের নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানান।

এছাড়া র‍্যালিতে অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান দেন। তবে র‍্যালিতে কোন বক্তব্য রাখেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। জাস্টিন ট্রুডো হাত তালি দিয়ে সেই স্লোগানের প্রতি সমর্থন জানান।

র‌্যালির এক বক্তা কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মাইকে বলেন, ‘হয় তুমি বৈষম্যের বিপক্ষের লোক, না হয় তুমি বর্ণবাদী। এই দুইয়ের মাঝখানে কোনো অবস্থান নেই।’ জাস্টিন ট্রুডো এই বক্তব্যেও হাত তালি দিয়ে সমর্থন দেন।

বর্ণবাদবিরোধী র‍্যালিতে অংশ নিয়ে ২৪ বছর বয়সী সিসি আখিগবে বলেন, ‘আমাদের সাথে অন্যায় আচরণ করা হয় এবং এতে আমরা ক্লান্ত।’

উল্লেখ্য, ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটে অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতারের সময়ে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ 

এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। এই সহিংস আন্দোলন ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং দাঙ্গা সেনা মোতায়েন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরও দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।

এএইচ/