সকালে এককাপ এই পানীয় করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৫:৪৫ পিএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার
করোনার সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। এর মধ্যেই লকডাউন উঠছে, অফিস খুলছে, যাতায়াতের যানও বেড়েছে। তাই দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদির পাশাপাশি এমন কিছু চাই যা ভিতর থেকেই আপনার সুরক্ষা বাড়াবে। সে রসদ লুকিয়ে আছে আমাদের সুপ্রাচীন ভেষজ উপাদানের মধ্যেই।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চেহারার উজ্জ্বলতা থেকেই বোঝা যায় মানুষটি শরীরে-মনে কতটা ভাল আছেন। তাঁর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কতটা কার্যকর। তাই ভেষজের এমন একটি উপাদান যা নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হয়ে জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়াবে। এর সঙ্গে কমতে থাকে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, মেদবাহুল্য, মানসিক অশান্তি-উদ্বেগ-অবসাদ ইত্যাদির প্রবণতা। এই রোগগুলো প্রত্যেকেই কোভিড-১৯-এর জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস ঘোষ জানিয়েছেন, “করোনা সংকটকালে ঘরে কম তেলে বানানো সুষম খাবার খাবেন চার বেলা। তার সঙ্গে খাবেন একটি বিশেষ পানীয়, সকালে খালি পেটে। যদিও এর ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই, তবুও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এই পানীয় পানের পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে দিনে দিনে। বাড়বে জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা।”
কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়
সারা রাত ভিজিয়ে রাখা ১০টা আমন্ড ও ৫টা খেজুরের সঙ্গে মেশান আধা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক চিমটে এলাচ গুঁড়া, এক চা-চামচ ভাল ঘি ও এককাপ দুধ। ভাল করে ফেটিয়ে এক চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।
এই পানীয় কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, তা এবার জেনে নিন...
* আমন্ডে আছে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২ এবং ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাসের মতো উপকারী খনিজ। নিয়মিত খেলে কোষের ক্ষতির হার কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ও কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, মেদবাহুল্য, মানসিক উদ্বেগ-অবসাদ ইত্যাদির মতো ক্রণিক অসুখের প্রবণতা কমে।
* খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন ও আরও নানা রকম খনিজ। আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা কোষের ক্ষতির হার কমিয়ে সব ধরনের ক্রনিক অসুখের প্রবণতা হ্রাস করে। মস্তিস্ক সতেজ রাখে, ভাল থাকে হাড়ও।
* হলুদ জীবাণুনাশক। শরীরে প্রদাহের প্রবণতা কম রাখে।
* এলাচও তাই। সঙ্গে আছে শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করার গুণ।
* ঘি-তে আছে ভিটামিন ডি ও ই হল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। অর্থাৎ শরীরে কিছুটা ফ্যাটের জোগান না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর এই দুই কারিগর ঢুকতেই পারে না শরীরে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিকঠাক রাখতেও দিনে ছোট এক চামচ ঘি’র বিরাট অবদান আছে। সে জন্য চিকিৎসকরা হৃদরোগীদেরও অল্প ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন। মাত্রা রেখে খেলে ওজনও কমে।
* মধু এনার্জি দেয়। সকালে যা একান্ত প্রয়োজন। তার উপর চিনির উপদ্রব নেই এতে। মাত্রা রেখে খেলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের জন্য খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে মধু।
এককাপ পানীয়তে যদি এই উপকারগুলো আপনার শরীরে ঘটে, তবে রোগ-মালাই এমনিতেই পালাবে। কোনও রোগই আপনাকে কাবু করতে পারবে না। তা করোনা হোক বা অন্য কিছু হোক।
এএইচ/