ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের পরিবর্তনের ডাক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৯ পিএম, ৭ জুন ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০২:০২ পিএম, ৭ জুন ২০২০ রবিবার

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহত রয়েছে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন। বিভিন্ন শহরে চলা বিক্ষোভ সমাবেশে  হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। যেখান থেকে বর্ণবাদ অবসানে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। 

স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুন) চলা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।  

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে উঠে এসেছে, নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত হাজার হাজার কৃষাঙ্গ, শেতাঙ্গ ও বাদামী লোক রাস্তায় নেমে আসে। সমাবেশের মূল কেন্দ্র ছিল ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউস ঘিরেও ছিল প্রতিবাদকারীদের সমাবেশ।

গত ২৫ মে মিনেপোলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের নিরস্ত্র এক কৃষাঙ্গ প্রাণ হারালে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। যা ছড়িয়ে পড়ে জার্মানি, ফ্রান্স ও কানাডাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে। কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

ওয়াশিংটনের একজন প্রতিবাদকারী ক্রিশ্চিন মন্টগমেরি বলেন, ‘বহু দশক ও শত শত বছর ধরে এ লড়াই চলে আসছে। এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের।’

রৌদ্রোজ্জ্বল ও উষ্ণ দিন হওয়া সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা মহামারি করোনার কারণে মাস্ক পরে ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবীরা পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য জিনিস বিক্ষোভকারীদের সরবরাহ করে। বিক্ষোভকারীদের মাথার ওপর হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা গেছে। কোন কোন বিক্ষোভকারীকে নাচতেও দেখা যায়।

সেনা সদস্য ও পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আগের তুলনায় তাদের উপস্থিতি ছিল কম। তাদের কেউ কেউ বিক্ষোভকারীদের স্মিত হাসি উপহার দেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া ড্যানিস লরেন্ট মান্টে বলেন, ‘মার্টিন লুথার কিং এখানে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেক অনেক বছর পর নতুন আশার বার্তা নিয়ে আমরা এখানে ফিরে এসেছি।’

এদিকে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয় ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে একজন বক্তা বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ নির্মূলের এখনই সম।’

হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও তিউনিসে। তাদের শ্লোগান ছিল, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই, আমরা নিঃশ্বাস নিতে চাই।’

এদিকে ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফুঁসে ওঠা বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর অবস্থান নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সেনা অভিযানেরও হুমকি দেন। জানি করেন ৪০টির বেশি শহরে কারফিউ। 

এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে ওয়াশিংটনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লেলিয়ে দেয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক মানবাধিকার গ্রুপগুলো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

এআই//