ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

নওগাঁয় উৎকোচ দিয়েও বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত ২৬ পরিবার 

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৮ জুন ২০২০ সোমবার

মাত্র কিছুদিন আগেও আলোর ফেরিওয়ালা নামে ফেরি করে মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজাটি করে পল্লী বিদ্যুৎ। এতে মানুষের প্রশংসাও পায় তারা। 

অথচ সামান্য মিটার সংযোগের অভাবে গত ২ বছর ধরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম গ্রামের নতুন দুটি পাড়ার ২৬টি পরিবার বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত। দুই বছর আগে বিদ্যুৎসংযোগের নামে এসব পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়ার পর সেখানে খুঁটি পুঁতে মেইন লাইনের তার, ড্রপতার টাঙানো ও ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হয়। কিন্তু দেয়া হয়নি মিটার।

ওই গ্রামের নতুন দুটি পাড়ায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, একটি পাড়ার একটি ১৫টি অপরটিতে ১১টি পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। পুরো গ্রামে বিদ্যুতের আলো জ্বললেও এ দু’টি পাড়া আলোহীন। ২০১৮ সালের মে-জুন মাসের দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ পালোয়ানের কথামতো ওই ২৬ পরিবার মিটার প্রতি ৪ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেন। সে অনুযায়ী তারা ৪ হাজার টাকা করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ইউপি সদস্যকে দেন। টাকা দেবার পর বৈদুতিক খুঁটি পুঁতে তার টানানো, ট্রান্সফর্মার স্থাপন ও ড্রপতার টাঙানো হলেও মিটার সরবরাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। 

ভুক্তভোগী বেদারুল ইসলাম, লেবু শেখ, শহিদুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা দু’টি পাড়ার ২৬টি পরিবার বিদ্যুতের আশায় ইউপি সদস্য হানিফ পালোয়ানকে ৪ হাজার টাকা করে দিয়েছি। টাকা দেয়ার পর বিদুতের আনুসাঙ্গিক কাজ করা হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের মিটার দেয়া হচ্ছে না। ফলে আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।’

ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৭ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।’

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য হানিফ পালোয়ান বলেন, ‘তাদের টাকা দিয়ে নওগাঁ থেকে বিদ্যুতের পোল ও অন্যান্য মালামাল পরিবহন করা হয়েছে। এখন মিটারের জন্য আরও ৬০০ টাকা করে লাগবে। এটা না দেয়া এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে সংযোগ বিলম্বিত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনাল অফিসের এজিএম ফিরোজ জামান বলেন, ‘পোল ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনের সমুদয় ব্যয়ভার বহন করবেন ঠিকাদার। গ্রাহকের টাকা দিয়ে মালামাল বহন করতে হয় না। নতুন বিদ্যুৎসংযোগ নেবার জন্য মিটার বাবদ ৪৫০ টাকা অফিসকে দিতে হয়। এ ছাড়া আবেদন ফি ও ঘর ওয়েরিংসহ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ টাকার উপর খরচ হয় না। জামগ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটা আমাকে আগে কেউ জানায়নি।’

বিষয়টি আমাকে জানানো হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। যাই হোক বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। 

এআই//