বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৪ লাখ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
নিয়ন্ত্রণহীন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দমনে এখনও আশার আলো নেই। ফলে, প্রতিদিনই রেকর্ড আক্রান্তের সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। যার সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে প্রায় ৭২ লাখ মানুষের দেহে।
করোনার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে করোনা তাণ্ডব চালিয়েছে গোটা ইউরোপে। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলে নতুন হটস্পট হয় লাতিন আমেরিকা। যেখানে ষাট হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যাতে চরম বিপর্যয়ের মুখে ব্রাজিল।
ভাল নেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশুগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটছে বাংলাদেশেও।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ৭১ লাখ প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ প্রায় ৭ হাজার ২৫০ জন। নতুন করে প্রাণ কেড়েছে ৩ হাজার ১৫৭ জনের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে না ফেরার দেশে বিশ্বের ৪ লাখ ৮ হাজার ২৪০ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ।
এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫ জন মানুষের।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ১১ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ২১২ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌনে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে প্রায় ৬ হাজার মানুষের।
নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ১৩৬ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ প্রায় সাড়ে ৮৭ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৪০ হাজার পেরিয়েছে।
ইউরোপে প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে সংক্রমণ ২ লাখ সাড়ে ৩৫ হাজার। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার জনের।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভয়াবহ অবস্থায় থাকা ভারতে আক্রান্ত ২ লাখ ৬৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। দেশটিতে করোনায় প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৪৭৩ জনের।
আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত করোনার শিকার ৬৮ হাজার ৫০৪ জন। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৯৩০ জন মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৫৬০ জন।
এআই//