অবশেষে ঘুষের প্রস্তাব দেয়া পুলিশের যুগ্ম কমিশনারকে বদলি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
অবশেষে বদলি করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে সরাসরি ঘুষের প্রস্তাব দেয়া সেই যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনকে। তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুজন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি) মোহা. আবদুল মালেককে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি) ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনকে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
একই আদেশে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রান্সপোর্ট) মঈনুল হক বিপিএম (বার), পিপিএমকে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এর আগে যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে সরাসরি ঘুষের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠে।
অনৈতিক এ প্রস্তাবে কমিশনার চরম ক্ষুব্ধ ও বিব্রত হন। তবে তিনি বিষয়টি গোপন রাখেননি। অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দুর্নীতিপরায়ণ আখ্যায়িত করে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বদলি করার প্রস্তাব দেন।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) ইমাম হোসেনকে অন্যত্র বদলির বিষয় উল্লেখ করে কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম আইজিপিকে লেখা দাফতরিক পত্র দিয়েছেন ৩০ মে।
যদিও ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করে যুগ্ম কমিশনার ইমাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘কমিশনার স্যারকে ঘুষ অফার করার দুঃসাহস আমার হয়নি। স্যার অনেক ভালো মানুষ। কিন্তু এভাবে কেন অভিযোগ করলেন আমি বুঝতে পারছি না। আমি ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের শিকার।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ডিসি হিসেবে ইমাম হোসেন ডিএমপিতে পোস্টিং নিয়ে আসেন। এরপর ডিএমপির ডিসি (অর্থ), ডিসি লজিস্টিকস এবং সবশেষে পদোন্নতি পেয়ে একই দফতরে যুগ্ম কমিশনার হয়েছেন।
এসএ/