ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে পার্থক্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

৬৬ দিন লকডাউনের পর বাংলাদেশে সবকিছু আবার খুলে দেয়া হয়েছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকার গুরুত্বও সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণের সাথে বসবাসের দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রেক্ষিতেই তাই জানা থাকা দরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং করোনাভাইরাসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো প্রায় একই রকম। কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও করোনাভাইরাসের এখনো কোন প্রতিষেধক আসেনি। এমনকি প্রতিনিয়তই নতুন উপসর্গ যোগ হচ্ছে।

যেহেতু দুটি রোগেরই উপসর্গ প্রায় এক, তাই কোনটা ইনফ্লুয়েঞ্জা আর কোনটা করোনাভাইরাস, কিছু সাধারণ জ্ঞানের মাধ্যমে যদি তার তফাৎ করতে পারেন তাহলে শুধু শুধু আতঙ্কিত হওয়া থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন।

আসুন জেনে নেই করোনাভাইরাস ও সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে পার্থক্য।

১. শুকনো কাশি

করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্বর ও শুকনো কাশি। তবে এই কাশি গলা পরিষ্কারের কাশি বা নাকে ধোঁয়া ঢুকে হঠাৎ এসে যাওয়া কোনো কাশি নয়, এ হলো ঘণ্টাখানেক বা তারও বেশি সময় ধরে চলা বিরামহীন শুকনো কাশি যাতে কোনো শ্লেষ্মা বা আঠাল পদার্থ থাকবে না।

শরীর খুব খারাপ লাগবে এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও কাশি শুকনো থাকে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট সাধারণত হয় না। আর কাশিতে যদি শ্লেষ্মা থাকে, তাহলে এটা করোনাভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা কোনোটাই নয়, সাধারণ সর্দি।

২. জ্বর

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে জ্বর আসবে তাতে শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে। থার্মোমিটারে যেমন সেটা বোঝা যাবে, তেমনি বুকে বা পিঠে হাত দিলেও তাপমাত্রা বোঝা যাবে। ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও জ্বর আসে। ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ করোনাভাইরাস এবং জ্বর- দুটিরই উপসর্গ একই।

৩. হাঁচি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি হতে পারে। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে হাঁচি থাকে না সাধারণত। তবে যদি কারো এলার্জি থাকে, তাহলে অবশ্য তার হাঁচি হতেও পারে।

৪. নাক দিয়ে সর্দি পড়া

ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় নাক দিয়ে সর্দি পড়ার উপসর্গ থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে সর্দি পড়ার কোনো উপসর্গ থাকে না।

৫. গলাব্যথা

গলাব্যথা করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি অন্যতম উপসর্গ। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে গলাব্যথা হতেও পারে। আবার নাও পারে।

৬. মাথাব্যথা

ইনফ্লূয়েঞ্জার ক্ষেত্রে রোগীভেদে মাথাব্যথা হতেও পারে। আবার নাও পারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে নতুন যেসব উপসর্গের কথা বলা হচ্ছে মাথাব্যথা তার অন্যতম।

৭. ডায়রিয়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া, গন্ধ না পাওয়া

করোনাভাইরাসের এগুলো হলো সাম্প্রতিক উপসর্গ। এবং এগুলো সাধারণত পাঁচদিনের মধ্যে দেখা দেয়। কারো কারো ক্ষেত্রে অবশ্য এর চেয়ে দেরিও হতে পারে। কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে এসব উপসর্গ থাকে না।

তবে তার মানে এই নয় যে, এসব উপসর্গ থাকা মানেই তার করোনাভাইরাস হয়েছে। এটা শুধুমাত্র পরীক্ষা করাবার পরেই জানা যাবে।

এমবি//