করোনার উপসর্গ দেখা দিলে প্রথমেই যা করবেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৪ পিএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
হঠাৎ করেই আপনার জ্বর হয়েছে? কিংবা সর্দি ও হালকা খুশখুশে কাশি হচ্ছে? অথবা আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল, সেটা এখন বৃদ্ধি পেয়েছে? কিছু কিছু লক্ষণ করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাথে মিলে গেলে কীভাবে বুঝবেন যে, আপনি আসলেই করোনাভাইরাস সংক্রমিত। নাকি আপনার সিজনাল ফ্লু অথবা সাধারণ ঠান্ডা-কাশি হয়েছে?
করোনা সংক্রমণ প্রমাণিত হলে তখনই বা আপনি কী করবেন? হাসপাতাল থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে বা বাসায় থাকলে এ সময় আপনার আসলে করণীয়ই বা কী? দুশ্চিন্তিত হবেন, না-কি যথাযথ জ্ঞান প্রয়োগ করে সঠিক ব্যবস্থা নেবেন?
জ্বর, সর্দি, কাশি হলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছাড়াও ইনফ্লুয়েঞ্জা, টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস ইত্যাদি কারণেও জ্বর-সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, হৃৎপিণ্ড বিকলের মতো কারণে শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে। এমনকি করোনাভাইরাস সংক্রমণ মানেই মৃত্যু অবধারিত-বিষয়টি কিন্তু এমনও নয়।
শতকরা ৮০-৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মৃদু সংক্রমণ করে, যা সহজেই ভালো হয়ে যায়। প্রায় ১০-১৫% ক্ষেত্রে এটি মাঝারি থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এ রকম ক্ষেত্রে অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
শুকনো কাশি, জ্বর, হাঁচি, নাক দিয়ে সর্দি পড়া, গলাব্যথা, ডায়রিয়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া, গন্ধ না পাওয়া মাথাব্যথা উপসর্গগুলো দেখা দিলে প্রথম করণীয় হলো আলাদা থাকতে শুরু করা। কারণ হতে পারে এটা করোনা নয়।
কিন্তু যদি করোনা হয়, তাহলে আপনার অজান্তেই হয়তো আপনি আপনার প্রিয়জন-পরিজনকে সংক্রমিত করে ফেলতে পারেন।
কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। বাসায় থেকে বিশ্রাম নিয়েই ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ পৃথিবীজুড়ে সেরে উঠেছেন করোনাভাইরাস থেকে।
৮১ শতাংশ করোনা রোগী ঘরে থেকে ব্যবস্থা নিয়ে সুস্থ হতে পারেন। (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি, ২০ মে ২০২০)
প্রথমেই মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা এখনও তৈরি হয়নি।
এমবি//