ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে চলাচলের দুর্ভোগে ৪ ইউনিয়নের বাসীন্দারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৫ পিএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকায় কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়ক নির্মাণাধীন ব্রীজের পাশে সাধারণের চলাচলের বিকল্প সড়কটি কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য কেটে দিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। এতে করে উঁচু জমির পানির তোড়ে রাস্তাটির প্রায় ১০০ ফুট ভেঙ্গে গিয়ে সাধারণের যোগাযোগ ও যানবাহন চলাচল ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ডিঙি নৌকায় করে পাড়াপাড় করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, উজানের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য ধরলার শাখা নদীতে নির্মাণাধীন ব্রীজের পাশে কালভার্ট ছাড়াই বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পানি আটকা পড়ে পাঁচগাছী ইউনিয়নের কাঁচিচর এলাকায় পাট, ঢেড়স, পটলসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। এসব ফসলী জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য জনগণের যাতায়াতের কথা বিবেচনা না করেই সোমবার রাতে পথটি কেটে দিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, ঘোগাদহ ও বেগমগন্জ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।

পথচারী নয়ন, মোকলেছ ও উজ্জ্বল বলেন, এখানে থাকা সেতুটি ভাঙার পর থেকে আমরা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। বিকল্প পথটি কেটে দেয়ায় আমরা আরও চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। এখন কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে জেলা শহরে যেতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। 

কাঁচিচর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জমসের আলী জানান, এই বিকল্প পথ দিয়ে বৃষ্টির পানি নেমে যেতে না পাড়ায় কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার বিভিন্ন সবজি ক্ষেত  তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিকল্প পথটি কেটে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিকল্প পথটিতে যদি আগে থেকে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে আজ এই সমস্যা হতো না। দ্রুত অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে বিকল্প পথটি মেরামত করে জনগণের চলাচল ব্যবস্থা সহজ করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।  

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌলী (এলজিইডি) সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ছামিন সারালো ফুয়াদ জানান, স্থানীয় লোকজন আপাতত পাটেশ্বরী হয়ে চলাচল করতে পারবে। আমরা দুই-একদিনের মধ্যে এ পথটি মেরামত করে দিবো।
কেআই/