ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ১০ জুন ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৫:১০ পিএম, ১০ জুন ২০২০ বুধবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ জুন) সকালে নাসিরনগর উপজেলায় শরিফ উদ্দিন নামে একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং নবীনগর উপজেলার মাঝিকাড়া গ্রামের তাহসিন আক্তার জনি নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। জেলায় এখন পর্যন্ত ৩০৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে মো. শরিফ উদ্দিন শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. শরিফ উদ্দিন ফান্দাউক ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (এফপিআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

করোনা উপসর্গ নিয়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় জানান, তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে তা রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (আইইডিসিআর) এ পাঠানো হবে।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফি জানান, নিহতের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আরো খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। 

এদিকে, মৃত তাহসিন আক্তার জনি নবীনগর পৌর এলাকার মাঝিকাড়া গ্রামের পরিবহন শ্রমিক জসিম উদ্দিনের মেয়ে। সিলেটে কৃষি বিপণন অধিদফতর অফিসে কর্মরত ছিলেন তিনি। 

জানা যায়, চার বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তাহসিন আক্তার জনি। গত বৃহস্পতিবার সিলেট থেকে বাড়িতে আসার পর করোনাভাইরাসের উপসর্গ ঠান্ডা, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে মারা যান। খবর পেয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিক্যাল টিম তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত ইউএইচএ. ডা. হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, করোনা রোগীকে যেভাবে দাফন করা হয় সেভাবেই এই তরুণীর দাফন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, আজকের আক্রান্তের রিপোর্ট এখন পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। এছাড়াও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলার কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী, শাহাপাড়া, শিতল পাড়ার তিনটি ওয়ার্ডে লকডাউন দেওয়া হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম বলেন, এসব এলাকায় রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন করা হয়েছে। 

এদিকে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়লেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। মার্কেট, বাজার ও শহরের বিভিন্ন সড়কে উপচেপড়া ভিড়। নিয়ম-নীতি না মেনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই মানুষ কারণে ও অকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও বাস্তবে তা কোনো কাজে আসছে না। 

কেআই/এনএস/