কমেছে রফতানি পণ্যের উৎসে কর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ১১ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৫৮ পিএম, ১১ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার
রফতানি পণ্যের উৎসে কর কমানো হয়েছে। নতুন অর্থবছরের (২০২০-২০২১) প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাকসহ সকল ধরণের পণ্যের রফতানির ক্ষেত্রে উৎসে এ কর কমানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকসহ সকল ধরনের পণ্য ও সেবা রফতানি খত কোভিড-১৯ এর কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই রফতানি খাতকে সার্বিক সহায়তার অংশ হিসাবে আয়কর অধ্যাদেশে উল্লেখিত উৎসে করের হার কমানোর প্রস্তাব করছি।’
আয়কর অধ্যাদেশে তৈরি পোশাকসহ সকল ধরনের পণ্যের রফতানি মূল্যের ওপর ১ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। এসআরও জারির মাধ্যমে এ হার হ্রাস করা হয়েছে, যা ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি আয়কর অধ্যাদেশে তৈরি পেশাসহ সকল ধরনের পণ্যের রফতানি মূল্যের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধরণের প্রস্তাব করছি।’
বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে জরুরি এবং অপ্রত্যাশিত খরচ দেখা দিয়েছে তা মেটাতে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। বাজেট অনুমোদনের জন্য এ দিনই জতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেন।
এমএস/এসি