ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হরিপুরে গৃহবধূ হত্যা: ধরা ছোঁয়ার বাহিরে আসামীরা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২৪ পিএম, ১১ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে লিপি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ২০ দিনে পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত আসামীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার।

এদিকে গ্রেফতার এড়িয়ে অভিযুক্ত আসামীরা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন বলে নিহত গৃহবধূর বাবা হাফিজ উদ্দীন অভিযোগ করেছেন।

তবে পুলিশ বলছেন,আসামীরা পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও গ্রেফতারের চেষ্টা আব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য,হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের ইশাহাক আলীর ছেলে রয়েলের সঙ্গে ৮/৯ বছর পূর্বে তোররা (সাতহাজরা) গ্রামের হাফিজ উদ্দীনের কন্যা লিপি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় গৃহবধূর পরিবার মেয়ের সুখের জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জামাই রুয়েলকে দেওয়া হয়। বিয়ের পর কয়েকদিন মেয়ে ও জামাইয়ের সংসার জীবন বেশ সুখেই ছিল। কিন্তু  কিছুদিন যেতে না যেতেই জামাই রুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন গৃহবধূ লিপি আক্তারকে তার বাবার কাছ থেকে আরো মোটা অংকের টাকা এনে দিতে চাপ দিতে শুরু করে। এতে লিপি আক্তার রাজি না হলে তাকে কয়েকবার মারধর  ও নির্যাতন করে।

এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার শালিস-বৈঠকও হয়। এরপরও লিপি আক্তারকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগে রাজি না হলে আবারো তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। গত ২৪ মে আবারও টাকার জন্য স্বামী রয়েলসহ তাদের পরিবারের লোকজন লিপিকে শারীরিক নির্যাতন ও মারপিট করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 
 
লিপি আক্তারের মা ও মামলার বাদী আনোয়ারা বেগম বলেন,আমার মেয়ে লিপি আক্তারকে তার স্বামী রয়েলসহ তাদের পরিবারের লোকজন মারধর ও নির্যাতন করে হত্যা করলে ওই দিনই রাতে হরিপুর থানায় একটি হত্যার অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করি। থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে যৌতুকের জন্য মারধরসহ হত্যা ও  সহায়তার অপরাধে  মামলা রজু করে।
 
এদিকে গৃহবধূ হত্যার ২০দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় লিপি আক্তারের সঠিক বিচার না পাওয়ার আশংকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার। তারা  গৃহবধূ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য  প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বেলাল হোসেন বলেন, সকল আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা আব্যাহত রয়েছে।
কেআই/