কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ১১ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার
নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় এ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন। এতে দেশীয় শর্ষের তেল, ফ্রিজ, এসি, স্বর্ণসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে পারে। নতুন অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়।
অটোমোবাইল, ফ্রিজ, এসির দাম কমতে পারে। দাম কমতে পারে শর্ষের তেলের। ডিটারজেন্টের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে গুঁড়া সাবানের দাম কমতে পারে। একইভাবে দাম কমতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের। কারণ, এগুলোর কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু পেয়াজ রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একইভাবে তিনি রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। এসব নিত্যপণ্যের দামও কমতে পারে। নিত্যপণ্য ছাড়াও স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাপ সরবাহের ওপর উৎসে আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করা প্রস্তাব করেন। এছাড়া হাস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে হাস মুরগির খাদ্যের দামও কমতে পারে। এছাড়া ইস্পাত শিল্পের রিফ্রাক্টরি সিমেন্টের ওপর শুল্ক কমানো হবে। এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমতে পারে। রেফ্রিজারেটর ও এসির কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।
এমএস/এসি