ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বাজেটে সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার পেল স্বাস্থ্যখাত 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৫ পিএম, ১১ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০১ পিএম, ১১ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে গতানুগতিক ধারা থেকে বেড়িয়ে এসে স্বাস্থ্যখাতকে সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। গতবছরের তুলনায় ৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা বেড়ে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এ খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব দেন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন,'করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ও এর অর্থনৈতিক প্রভাব দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে ওঠার স্বার্থে আমরা গতানুগতিক বাজেট থেকে এবার কিছুটা সরে এসেছি। সে কারণে এবারের বাজেটে সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে এবার সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এ খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।' 

প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। 

মহামারি করোনার কালো ছায়া ঘিরে ধরেছে বিশ্বকে। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাভাবিকভাবেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর সৃষ্টি ফেলেছে কালো ছায়া।

এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিলেন অর্থমন্ত্রী। করোনাকালে স্বাস্থ্য নিয়ম ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজেট বক্তৃতায় কোভিড মোকাবেলায় সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। 
 
তিনি জানান, কোভিড নাইনটিন মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে ৫২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুজনিত কারণে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। 

আগামী অর্থবছরে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জরুরী চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

ই-হেলথ এর উন্নয়ন, ৮টি উপজেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ, বিদ্যমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণ এবং সকল জেলা সদর হাসপাতালে নেফ্রোলজি ইউনিট ও কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং এসডিজি বাস্তবায়ন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য সেবা এবং তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বৃদ্ধি করতে চান মন্ত্রী।
কেআই/