বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমেছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ১২ জুন ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০৫ এএম, ১২ জুন ২০২০ শুক্রবার
করোনা বাস্তবতার মধ্যে নতুন অর্থবছরের বাজেটে (২০২০-২০২১) সবচেয়ে বেশি কাটছাট করা হয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। এ খাতে বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের তুলনায় কমেছে ১ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৬ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা, যা বাজেটের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২০-২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের পর সংসদের বাজেট অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। যা বর্তমান অর্থবছরে ছিলো ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা।’
অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি কোভিড-১৯ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এক হাজার ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কোভিড-১৯ ইমাজেন্সি রেসপন্স প্রকল্প; অপরটি হচ্ছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় এক হাজার ৩৬৬ কোটি টাকার প্রকল্প। এগুলোর বাস্তবায়ন এরমধ্যেই শুরু হয়েছে। ফলে কোভিড মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ মহামারি মোকাবেলায় যা করণীয় তার সবই সরকার করবে। আগামী অর্থবছরে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যে কোনো জরুরি চাহিদা মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।’
এমএস/এসি