ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মানুষকে রক্ষা করার জন্যই এবারের বাজেট: অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪১ পিএম, ১২ জুন ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ১২ জুন ২০২০ শুক্রবার

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা এবার যে বাজেটটি করেছি সেটি মানুষকে রক্ষা করার জন্যই। টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা পরে দেখা যাবে। আগে আমরা খরচ করতে চাই। পরে আয় করবো।

আজ শুক্রবার বাজেটোত্তর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মানুষকে রক্ষার জন্যই এ বাজেট। মানুষকে খাবার দিতে হবে। যাদের চাকরি নেই তাদের চাকরি দিতে হবে। মানুষকে চিকিৎসা দিতে হবে। এবারের বাজেটে আমরা এসব গুরুত্ব দিয়েছি।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আশা করি, এ বাজেট আমরা যেভাবে সাজিয়েছি, সেভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের প্রত্যাশা হলো করোনা বেশিদিন প্রলম্বিত হবে না। যেহেতু আইএমএফ বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। ইতোমধ্যে আমাদের ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা আছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। এজন্য বাজেটটি আমরা দিয়েছি।’

বাজেটটি স্বাভাবিক নয় উল্লেখ করলেও অর্থমন্ত্রী বলছেন, ‘সারাদেশের মানুষ আমাদের নিয়ে কী ভাবে, কী স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশের মানুষ, এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের যে প্রত্যয়–সবকিছু আমরা মূল্যায়ন করেছি। আইএমএফ কী বলেছে, বিশ্বব্যাংক কী বলেছে এবং আমাদের আরও দাতাগোষ্ঠী যারা আছে, ইকোনমিক থিংক ট্যাংক যারা আছেন এবং দেশি-বিদেশি সব থিংক ট্যাংকের মতামত নিয়ে আমরা এ বাজেট দাঁড় করাবার চেষ্টা করেছি।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি জানি, এ বাজেটটি ভিন্ন, আগেই বলেছি। যেহেতু স্বাভাবিক পথ আমাদের জন্য ছিল রুদ্ধ, ভিন্ন পথেই আমাদের কাজটি করতে হয়েছে। সেজন্য হয়তো আপনারা দেখবেন, অনেকের কাছে অনেক অসঙ্গতি মনে হবে। কিন্তু উপায় ছিল না আমাদের। অসঙ্গতি হলেও আমাদের কিন্তু উপায় ছিল না। বাজেট না থাকলে কোনো অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নেয়া যায় না। এখন আমাদের দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে, অনেকে না খেয়ে কষ্ট পাবে, যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা কষ্ট পাবে, যারা রিকশা শ্রমিক তারা কষ্ট পাবেন– এসব মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো সময় নষ্ট না করে দ্রুত ছুটে আসলেন। আমাদের নির্দেশনা দিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দেন, সেই নির্দেশনা মেনে আমরা যেন সবাইকে সহযোগিতা করি। সেই কাজটি আমরা করে যাচ্ছি।’

এসি