ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষস্থানে শিল্প মন্ত্রণালয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ১২ জুন ২০২০ শুক্রবার
শিল্প মন্ত্রণালয় মধ্যম ক্যাটাগরির ১৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট (এট্আুই) কর্মসূচির উদ্যোগে চলতি-২০২০ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ‘ই-নথি ব্যবস্থাপনায়’ শিল্প মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থান অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
আজ শুক্রবার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, শুধু মধ্যম ক্যাটাগরি নয়, সকল ক্যাটাগরির মোট ৫৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের (বড় ৮টি, মধ্যম ১৫টি ও ছোট ৩৫টি) মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘ই-নথিতে’ সর্বোচ্চ কার্যক্রম রয়েছে। পাশাপাশি ই-নথি ব্যবস্থাপনায় ছোট ক্যাটাগরির ১৮৫ টি সরকারি দপ্তর/ সংস্থার মধ্যে চলতি বছরের (২০২০) এপ্রিল মাসে ১ম স্থানে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ‘প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়’।
এরআগে চলতি বছরের জানুয়ারি এবং মার্চ মাসে শিল্প মন্ত্রণালয় মধ্যম ক্যাটাগরির ১৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ‘ই-নথি’ ব্যবস্থাপনায় ১ম স্থান অর্জন করেছিল।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাদান প্রক্রিয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই এগিয়ে রয়েছে।
করোনা (কভিড-১৯) পরিস্থিতির মধ্যেও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোতে ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক সময়ের মতো সকল কাজ চলেছে। রুটিন মাফিক সব ধরণের পূর্ব নির্ধারিত সভা, মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা (এপিএ), কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কর্মপরিকল্পনা (আইএপি) এবং এসএমই পলিসি সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটির সভা, ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া, ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দৈনন্দিন কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনার কারণে সরকারি ছুটির সময়েও শিল্প মন্ত্রণালয় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মোট ৩২ সভা ও ৪ টি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেরও আয়োজন করে।
এছাড়াও, সরকারি ছুটিকালীন ৫১টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় সবার আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) তৃতীয় ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এপিএএমএস সিস্টেমে দাখিল করেছে।
ধারাবাহিক মনিটরিং, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ এবং সরকারি সেবা-কাজে উদ্বুদ্ধকরণের ফলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ই-নথি ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল সেবাদান প্রক্রিয়ায় এ ধরণের সাফল্য এসেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা তুলে ধরে বলা হয়, ‘এ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সেবাদান প্রক্রিয়া গতিশীল হয়েছে এবং কাজের পরিমাণ বেড়েছে। সেবা-গ্রহীতারাও এখন দ্রুত কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন।’
এসি