ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহের আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৭ এএম, ১৩ জুন ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৯:০৮ এএম, ১৩ জুন ২০২০ শনিবার

 

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কিছু দিন ধরে বর্ণবৈষম্য বাতিলের দাবিতে গণবিক্ষোভ হচ্ছে। তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারি দ্বিতীয় ধাপে প্রকট হয়ে উঠতে পারে। এমন শঙ্কাই প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে ইউরোপের বড় বড় শহরগুলোতে গত কয়েক দিন ধরে লাখ লাখ মানুষ বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই আন্দোলন করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির পথে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য কাল হতে পারে বলে ইউরোপের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিকেরা।

এরকম পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন’ এর প্রধান জোজেফ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রত্যেককেই যখন একে অপরের কাছ থেকে দেড় মিটার দূরে থাকতে বলা হচ্ছে, ঠিক তখনই প্রত্যেকে একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান করছে, একে অপরকে স্পর্শ করছে। এটি মোটেই ভালো কথা নয়।’ 

তিনি মনে করছেন, ‘এর ফলে আগামী দুই সপ্তাহেই ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তবে একথা না ফললেই ভালো।’

এদিকে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, কোন জমায়েতে ছয় জনের বেশি মানুষের অংশ নেওয়া উচিত নয়। সেটি যদি বিক্ষোভও হয় তাতেও না। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মানুষ কোনো একটি কারণে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে রাস্তায় নামছে। তাদের সেই অদম্য আবেগের বিষয়টি তিনি বোঝেন। কিন্তু এটা ভাইরাসের ব্যাপার। মানুষের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শ থেকে যেটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস মানুষের সেন্টিমেন্টের ধার ধারবে না।’

ইইউ’র আরেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মার্টিন সেশিল বলেন, “শ্বাস প্রশ্বাস জনিত যেকোনো রোগ ছড়ানোর অন্যতম উপায় হলো জনসমাগম।”

ইউরোপের বেশির ভাগ দেশই এখন করোনা ভাইরাস মহামারির প্রথম পর্যায় পেরিয়ে কেবল ব্যবসাবাণিজ্য চালু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। সংক্রমণও গত কয়েক সপ্তাহে কমে এসেছে অনেকটাই। 

ইউরোপে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, দ্বিতীয় ধাপের মহামারি হতে পারে গ্রীষ্ম পেরোনোর পর। কিন্তু বিক্ষোভের কারণে এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

এএইচ/