ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রাণহানিতে এশিয়ায় শীর্ষে ভারত, আক্রান্ত ৩ লাখ ছাড়াল 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৪ পিএম, ১৩ জুন ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০২:২২ পিএম, ১৩ জুন ২০২০ শনিবার

করোনায় এবার বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ভারত। প্রথম ১১০ দিনে সংক্রমণ এক লাখে পৌঁছার আগেই জারি করা হয়েছিল লকডাউন। তারপরও প্রতিদিনের রেকর্ড আক্রান্তে মাত্র দুই সপ্তাহে দুই লাখে পৌঁছায়। আর শেষ এক লাখ হতে সময় লেগেছে মাত্র ১০ দিন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে দেশটিতে। 

শুধু যে সংক্রমণে পথহারা, তা নয়। পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৮৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। যা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। 

আরও আশঙ্কার কথা, ২ থেকে ৩ লক্ষে পৌঁছনোর বেশির ভাগ সময়টাই দেশে ছিল লকডাউন। কিন্তু এখন লোকাল ট্রেন, মেট্রো এবং আন্তর্জাতিক উড়ান বাদ দিলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় পুরোটাই চালু হয়ে গেছে। ফলে শেষ পর্যন্ত যে কোথায় গিয়ে থামবে আক্রান্তের সংখ্যা, তা ভেবেই ঘুম ছুটেছে ভারতীয়দের। 

ভারতের কেন্দ্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১১ হাজার ৪৫৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এত করে আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৯৩ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেও লাখ ছাড়াল সংক্রমণ। 

অপরদিকে, আবারও একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ৩৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ নিয়ে মোট ৮  হাজার ৮৮৪ জন মারা গেলেন ভাইরাসটিতে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৭১৭ জনের। গুজরাটে ১ হাজার ২১৪ জন। 

বিগত কয়েক দিনে দিল্লিতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। রাজধানীতে এখনও অবধি ১ হাজার ২১৪ জন মারা গিয়েছেন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে। মোট মৃত্যুর নিরিখে দেশের চতুর্থ স্থানে পশ্চিমবঙ্গ।

 করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ রাজ্যে ৪৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৪৪০), তামিলনাড়ু (৩৬৭), উত্তরপ্রদেশ (৩৬৫), রাজস্থান (২৭২) ও তেলঙ্গানা (১৭৪)।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৩০ জানুয়ারি, কেরলে। আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য থেকে ৩ লাখ পর্যন্ত পৌঁছনোর পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। এর মধ্যে চার দফা লকডাউন হয়েছে। কিন্তু এখন প্রায় সব রকম অর্থনৈতিক কাজকর্ম চালু হয়ে গিয়েছে।

এখন খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন চালু হয়েছে। রাস্তায় মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন, প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কি বাড়তেই থাকবে? বাড়লেও আরও কত দিন বাড়বে এবং কখন থেকে কমতে শুরু করবে? শেষ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা কত হবে? এখনকার হিসেবে যদি বাড়তে তাকে, তা হলে আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

এআই//