চেক প্রজাতন্ত্রে ঢুকে পড়ল পোল্যান্ডের সেনাদল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ১৫ জুন ২০২০ সোমবার
চেক সীমান্তে এক পোলিশ সৈন্য
পোল্যান্ড স্বীকার করেছে যে তাদের সশস্ত্র বাহিনী গত মাসে এক অভিযান চালিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের কিছু অংশ দখল করেছিল। পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য এ ঘটনাকে 'ভুল বোঝাবুঝি' বলে বর্ণনা করেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে পোল্যান্ডের একটি সেনাদল সীমান্ত পাহারার জন্য মোতায়েন ছিল। তারা চেক প্রজাতন্ত্রের ভেতরে ঢুকে সেখানে একটি গির্জার কাছে অবস্থান নেয়। সেনাদলটি সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করে। চেক প্রজাতন্ত্রের লোকজনকে তারা সেখানে ঢুকতে বাধাও দেয়। খবর বিবিসির
বিষয়টি নিয়ে চেক কর্তৃপক্ষ পরে পোল্যান্ডের সরকারের কাছে অভিযোগ করে। ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মোরাভিয়ায়। এটি ঐতিহাসিক সিলেসিয়া অঞ্চলের অংশ, যার কিছু অংশ পড়েছে চেক প্রজাতন্ত্রে। পোল্যান্ড এই ঘটনাকে 'ভুল' বলে বর্ণনা করছে। অন্যদিকে চেক প্রজাতন্ত্র বলছে, তারা এখনো পোল্যান্ডের দিক থেকে সরকারিভাবে এই ঘটনার কোন ব্যাখ্যা পায়নি।
এই খবর প্রথম বেরিয়েছিল একটি আঞ্চলিক দৈনিকে।
ডেনিক নামে এই পত্রিকার খবরে বলা হয়, যে গির্জাটি পোলিশ সৈন্যরা দখল করেছিল, সেটির সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধান করছিলেন এক নির্মাণ প্রকৌশলী। তিনি গির্জাটির দেয়ালের প্লাস্টারের ছবি তুলতে চেয়েছিলেন তার কাজে। তখন পোলিশ সৈন্যরা তাকে বাধা দেয়।
পোলিশ সৈন্যদের হাতে ছিল মেশিনগান। তারা রাস্তাও অবরোধ করে রেখেছিল। চেক প্রজাতন্ত্রের অভ্যন্তরে এই পোলিশ 'দখলদারিত্ব' কতদিন ছিল, তা স্পষ্ট নয়। এই গির্জার কাছে একটি গ্রামে একটি পরিবেশবাদী গোষ্ঠী 'ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থের' সহযোগী একটি সংস্থার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
সংস্থার স্থানীয় সমন্বয়কারী ইভো ডোকুপিল জানান, তিনি গির্জায় যেতে চাইলে তাকে রুক্ষভাবে থামিয়ে দেয়া হয়।
"বিদেশি রাষ্ট্রের ইউনিফর্ম পরা এক সৈনিক, যারা হাতে ছিল মেশিনগান, সে আমাকে নির্দেশ দিচ্ছিল। এটি ছিল খুব ভীতিকর এক অভিজ্ঞতা", বলছিলেন তিনি।
"তারা আমাকে দশ মিটারও কাছে যেতে দেয়নি।" ততদিনে স্থানীয় চেক পুলিশ বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছে যায়। তারা পোল্যান্ডের সেনাদলকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে।
পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিএনএনকে জানিয়েছে, "এই সেনাদলকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল একটা ভুল বোঝাবুঝির ফলে। সাথে সাথে এই ভুল সংশোধান করা হয়েছে। এই সমস্যার মিটমাট হয়ে গেছে।"
এসি