ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ১৭ জুন ২০২০ বুধবার

বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে (সোলার হোম সিস্টেম) বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষ বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এ হিসাব অনুযায়ী বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্টে (জিএসআর) বাংলাদেশ মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ মানুষ বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ বা সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহার করে নেপাল এ তালিকায় প্রথম। 

গতকাল ২০২০ সালের বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে জিএসআর প্রকাশ করেছে রিনিউবেল এনার্জি পলিসি নেটওয়ার্ক ফর দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি (আরইএনএ ২১)। 

বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম সোলার হোম সিস্টেমের জন্য বিশেষ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে। বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে শীর্ষ ছয় দেশকে তালিকায় আনা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সেচকাজেও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশটির ১ হাজার ৫০০ সেচপাম্প সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে চালু রয়েছে। তবে বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারকারী বা উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ কোনো অবস্থানে নেই। ৪৭ দেশের মধ্যে জনপ্রতি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে প্রথম হয়েছে আইসল্যান্ড। জাপান ছাড়া এশিয়ার কোনো দেশ এ তালিকায় স্থান পায়নি। তবে শীর্ষ বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন তালিকায় চীন ও ভারত স্থান পেয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর পৃথিবীতে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গড়ে বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর বাংলাদেশ এ হার বৃদ্ধিতে পৃথিবীতে অন্যতম। ২০১০ সালে বাংলাদেশে ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় ছিল, যা ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে।

তবে দেশটি দুনিয়ার শীর্ষ ২০ দেশের একটি, যারা রান্নার কাজে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত জ্বালানি ব্যবহার করে না। দেশটির ৮১ শতাংশ মানুষ রান্নার কাজে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জ্বালানি ব্যবহার করে। খারাপ মানের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার বাংলাদেশে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার না হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়।

উল্লেখ্য, আরইএনএ ২১ নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম প্রধান গবেষণা ও নীতি প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।

এমবি//