ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ঘোড়ামরায় ৪শ’ ফিট বেড়িবাঁধের সংস্কার শুরু 

এম হেদায়েত, সীতাকুণ্ড 

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ পিএম, ১৭ জুন ২০২০ বুধবার

দীর্ঘ দেড়যুগ পর সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামরা সাগর উপকূলীয় এলাকায় চারশত ফিট বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। 

অমাবস্যা-পূর্ণিমাসহ বিভিন্ন সময়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে ওই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তিতে দিন যাপন করতে হয়। সাগরের লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। উপকূলীয় ওই এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত নানা আশংকার মধ্যে দিন পার করছে।

জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলা সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোড়ামরা (পাক্কা মসজিদ) এলাকায় চারশত ফিট ভেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। প্রতিবছর প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ মেরামতের আশ্বাস দিলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দীর্ঘদিন দেখা যায়নি। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম আল মামুন এবং জেলা পরিষদের সদস্য আ.ম.ম দিলসাদের সহযোগীতায় উক্ত বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়।

এব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য দিলসাদ বলেন, ঘোড়ামরা গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ নামে একটা প্রকল্প জেলা পরিষদে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, এছাড়াও সংসদ সদস্যের মাধ্যমে একটা চাহিদাপত্র পানি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবরে প্রদান করেন। সেই চাহিদাপত্র মোতাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই সংস্কার কাজ শুরু করে।

আম্ফান, আইলা থেকে শুরু করে প্রতিটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে বসত বাড়িতে পানি ঢুকে তলিয়ে যেতো হাজার হাজার পরিবারের বসত ঘর থেকে শুরু করে ফসলের মাঠ। এতে করে উপকূলে থাকা মানুষগুলো প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা ক্ষতিতে পড়তো। বেঁড়িবাধের পাশে প্রায় ৫০০ একর জমিতে থাকা ফসল নিয়ে মালিকরা থাকতো চরম আতঙ্কে। চিন্তার কোন অন্ত ছিলো না ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।

 

দীর্ঘ দেড়যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সাম্প্রতিক বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এতে খুশি ঘোড়ামরা উপকূলীয় এলাকার হাজারো জনসাধারণ। কিন্তু এখনো অরক্ষিত থেকে যায় কুমিরা, আকীলপুর এবং বাশঁবাড়িয়া সমুদ্র উপকূলের হাজার হাজার জনসাধারণ। 

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ডের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবস্টেন ইন্জিনিয়ার আরিফুজ্জামান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এনডিআর এর আওতায় প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামরা উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মানের কাজ আমরা শুরু করেছি। চলতি অর্থ বছরে জুনের মধ্যেই এই কাজ সমাপ্ত করবো। উক্ত বেড়িবাঁধের মাটি রক্ষায় বর্তমানে জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হবে। ঘোড়ামরার এই বেড়িবাঁধটি নির্মানের ফলে উক্ত এলাকার ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ লবণাক্ত পানির প্লাবনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও সীতাকুণ্ডের কুমিরা এবং আকীলপুর উপকূলীয় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধগুলো ক্রমান্নয়ে বাঁধা হবে।

আরকে//