ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

দেশে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৪ পিএম, ১৮ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:১৯ পিএম, ১৮ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৩৪৩ জন। 

একই সময়ে নতুন করে আরও তিন হাজার ৮০৩ মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জনে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বুলেটিন উপস্থাপনের আগে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। 

করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন জানিয়ে আজাদ বলেন, আমাকে  কিছুদিন হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয়েছে। সবার দোয়ায় আমি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছি।

বুলেটিনে ডা. নাসিমা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ হাজার ৩৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৬ হাজার ২৫৯টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে। 

ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৩৪৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৯৭৫ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪০ হাজার ১৬৪ জন।

বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৭২ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৫ হাজার ২৬৪ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৫০ লাখ ৪৫২ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৪ লাখ ১৫ হাজারের মতো মানুষ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এমবি//